বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

করোনা সংক্রমণ রোধে সিলেটে ২৮ লাখ টাকার হ্যাফা ফিল্টার মেশিন দান করলেন সাবেক এমপি শফি চৌধুরী

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২০, ১২:৪১ পিএম

করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে একমাত্র বিশেষায়িত ‘করোনা চিকিৎসা হাসপাতাল’ খ্যাত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে বিশেষ একটি যন্ত্র ‘হ্যাপা ফিল্টার সিস্টেম’ দান করেছেন সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী। সাড়ে ২৮ লাখ টাকা দামে জীবাণুমুক্তকরণ ফিল্ডারটি সিলেটবাসীর কল্যাণে দান করেছেন তিনি। করোনা সংক্রমণ শংকা দূর করে সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের ও রোগীর স্বজন নিরাপত্তায় হাসপাতালে স্থাপন করা হয় বিশেষ পদ্ধতির এ ভেন্টিলেশন ‘হ্যাপা ফিল্টার সিস্টেম’। ফিল্টার প্রতি মিনিটে ৬০ বার বাতাসের মাধ্যমে করোনার জীবাণু গ্রহণ করে প্রবাহিত করে বিশুদ্ধ বাতাস। এর মাধ্যমে বিশুদ্ধ বাতাস সরবরাহ নিশ্চিত হয় ৯৯.৯৭ শতাংশ। সিলেট সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে স্থাপিত ফিল্টারটি স্থাপনের কাজ করেছে রাজধানীর ভলটাস ইঞ্জিনিয়ারিং। গত ১৭ মে থেকে এ ফিল্টার স্থাপন কাজ শুরু হয়ে এর স্থাপন করা শেষ হয় ২০ জুন। ভলটাস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারের আইসিইউ ওয়ার্ডের ২০টি বেডের প্রতিটিতে মেশিন বসানো হয়েছে একটি করে। এই মেশিন প্রতি মিনিটে ৬০ বার বাতাস গ্রহণ করে ফিল্টারের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের জীবাণু আটকে বিশুদ্ধ বাতাস প্রবাহিত করবে ৯৯.৯৭ শতাংশ। পুরো ইউনিট জীবাণুমুক্ত রাখতে সক্ষম এ যন্ত্রটি। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের মেশিন বা ফিল্টার সাধারণত ব্যবহার করা হয় উন্নত বিশ্বের বড় বড় হাসপাতালগুলোতে । আমেরিকায় তৈরি এ মেশিনটি বাংলাদেশের বড় বড় ওষুধ কোম্পানিগুলোতে ব্যাকটেরিয়া ফ্রি করতে লাগানো হয়।

এছাড়া, ফিল্টারটি স্থাপনে প্রথমে একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং ছয়জন টেকনিশিয়ান মিলে কাজ শুরু করলেও তারা করোনা রোগীর বাহ্যিক বিভিন্ন উপসর্গ দেখে পালিয়ে যান ভয়ে। পরে আরেকটি টিম এনে কাজ করতে হয়েছে তাদের।
এ প্রসঙ্গে সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী বলেন, ওষুধ কোম্পানি প্রতিষ্টা করতে আমেরিকা থেকে আমদানি এই যন্ত্রটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর অনুরোধে সিলেটের মানুষের ঝুঁকিমুক্ত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে এটি দান করেছেন তিনি। সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা করোনা রোগীদের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা এ হাসপাতালটি হওয়ায়, সেই চিন্তা করেই মেশিনটি উপহার হিসেবে দিয়েছি আমি। তিনি বলেন, সিটি মেয়র নিজে গাড়ি পাঠিয়ে নিয়েছেন। যেভাবে প্যাকেট করা ছিল সেভাবেই তারা নিয়ে গেছেন। এটি আমদানি করো হয়েছিল ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বলেন, চিকিৎসক, নার্সসহ যারা আইসিইউ বেডে করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবায় জড়িতরা প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালন করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমে গেল। বলতে গেলে একজন থেকে অন্যজন সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা এখন নেই।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, রাজধানীর বাইরে কেবল সিলেটেই প্রথম বসানো হলো এ মূল্যবান যন্ত্রটি। এর বাইরে ইউনাইটেড হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতাল ও সিএমএইচ হাসপাতালে লাগানো আছে এ ধরনের মেশিন। তিনি বলেন, শফি আহমদ চৌধুরী সাহেবের সঙ্গে কথা বললে সিলেটবাসীর কল্যাণে মেশিনসহ ফিল্টারটি বিনামূল্যে দান করেছেন তিনি। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এটি স্থাপন করে দেয়া হয়েছে হাসপাতালে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন