তথ্যমন্ত্রী ড, হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজকে বাংলাদেশ তিনমাসের বেশি সময় ধরে প্রায় সবকিছু বন্ধ। এখন সীমিত আকারে খুললেও সবকিছু চালু হয়নি। সরকারের সঠিক এবং সময়োচিত পদক্ষেপ ও একইসাথে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতার কারণেই তিন মাসে বাংলাদেশে একজন মানুষও অনাহারে মারা যায়নি। দেশে কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই। খাদ্যের জন্য হাহাকারের আশঙ্কা
নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন, তাদের সেই মত ভুল প্রমাণিত হয়েছে। চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রেও সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আরো নতুন নতুন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং এগুলো ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের
করোনা সংক্রান্ত বিশেষ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। সভাটি জুম এপসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভাগীয় কমিশনার জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগে আইসিইউ বেড ১৯৬টি। এখানে শুরুতে যে সংকট ছিল, এখন তা নেই। চট্টগ্রামের রোগীরা যাতে আরো ভালোভাবে চিকিৎসা সুবিধা পায় সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি, চট্টগ্রামে নিয়মিত সমন্বয় সভা করছি। স্থানীয়ভাবে বিষয়গুলো দেখভাল করার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে যে কমিটি করে দেয়া হয়েছে, তারাও কাজ করছেন ।
সভায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হুইপ মো: শামসুল হক, চসিক মেয়র আ. জ. ম নাসির উদ্দীন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও চট্টগ্রাম বিভাগের করোনা বিষয়ক সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, চট্টগ্রামে করোনা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত কমিশনার (উন্নয়ন) মো: মিজানুর রহমান, স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রামের সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা প্রান্তে সভা সঞ্চালনা করেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, চট্টগ্রাম প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন বিভাগীয় কমিশনার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন