পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বহু দিন ধরেই ব্যাপারটা ভাবছে। ম্যাচ পাতানোকে ‘ফৌজদারি অপরাধ’ হিসেবে ঘোষণা করা। কিন্তু ভাবলেই তো হয় না, এর সঙ্গে বেশ কিছু আইনি ব্যাপার জড়িয়ে আছে। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ ব্যাপারে পিসিবিকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান এহসান মানি।
বর্তমান আইন অনুযায়ী পিসিবি অভিযুক্ত খেলোয়াড়ের ব্যাংক হিসাব, ইত্যাদি তলব করতে পারে না। এ ব্যাপারে আইন সংশোধনের ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। আইনটি হয়ে গেলে এ সব জটিলতা কেটে যাবে।
নব্বইয়ের দশকেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নিয়ে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠেছিল ক্রিকেট দুনিয়ায়। অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখার জন্য একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিশনও গঠন করা হয়। সেই কমিশনের রায়ে ২০০০ সালে বহিষ্কৃত হন সাবেক অধিনায়ক সেলিম মালিক ও ফাস্ট বোলার আতা-উর-রেহমান। এরপরেও ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ বন্ধ হয়নি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন তিন ক্রিকেটার- সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। এঁদের বিরুদ্ধে ৫ থেকে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি প্রত্যেককেই করতে হয় কারাবাস।
এরপরেও নাসির জামশেদ, শারজিল খানের মতো বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণেই কঠোর হতে যাচ্ছে পিসিবি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন