বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নিজের দলের দিকে তাকালে দেখবেন বহু মীর জাফর

প্রধানমন্ত্রীকে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমালোচনা না করে প্রধানমন্ত্রীকে নিজ দলের প্রতি তাকানোর পরামর্শ দিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবারও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অসত্য, অশোভন কথা বলেছেন যা অসুস্থ মনের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও অপবাদ দেয়া মানেই মুক্তিযুদ্ধকেই অপমান করা। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়া সরকারি চাকরি করতেন, কোন মন্ত্রী-এমপি ছিলেন না। কিন্তু যারা খন্দকার মোশতাকের সরকারে মন্ত্রী এবং সেই সময়ের পার্লামেন্টে এমপি ছিলেন তাদের কথা একবারও উল্লেখ করেন না। কারণ তারা সবাই ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টের আগে আপনার মরহুম পিতার নেতৃত্বে সরকারেও ছিলেন। আর সে কারণেই কে খন্দকার মোশতাকের কেবিনেটে শপথ পাঠ করিয়েছেন সে কথা আপনি কখনোই উচ্চারণ করেন না। আপনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রী টাঙ্গাইলের আব্দুল মান্নান কিভাবে আপনার অধীনেই রাজনীতি করেছেন এবং এমপি হয়েছেন? মালেক উকিল সাহেব স্পিকার ছিলেন এবং আপনার পরিবারের মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের পর সেটিকে সাফাই গেয়ে বিদেশ থেকে মন্তব্যও করেছিলেন, অথচ সেই মালেক উকিলের গড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সুতরাং অন্যকে দোষারোপ না করে নিজের লোকদের দিকে তাকালেই আপনি ইতিহাসের বহু মীর জাফর দেখতে পাবেন।
রিজভী বলেন, ২০০৩ সালে পাশ হওয়া বিদ্যমান আইনে কোন অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না, কিন্তু গত মঙ্গলবার সংসদে উত্থাপিত আইন কার্যকর হলে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বছরে এক বা একাধিকবার বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডিজেল, পেট্রোলসহ জ্বালানির দাম পরিবর্তন করতে পারবে। বছরে বারবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিল পাশ মানে গরীবদের সলিল সমাধি রচনা করা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ২৫ জুন, ২০২০, ৯:৩৯ পিএম says : 0
বিএনপি দলের বিগ-মাউথ (বাচাল) রিজভী সাহেবের আলতু ফালতু কথা প্রায় প্রতিদিনই ইনকিলাব পত্রিকা সহ বিভিন্ন পত্রিকায় পড়ে থাকি। আজ তিনি যে কথা বলেছেন তার জবাব না দিয়ে বসে থাকতে পারছিনা কারন আমিও ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি আর সেই মুক্তিযুদ্ধের উপর বাচাল মিয়া ওনার মনিবকে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। রিজভী সাহেব বলেছেন, জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও অপবাদ দেয়া মানেই মুক্তিযুদ্ধকেই অপমান করা। এখানে আমি বলতে চাই জিয়া মিয়া কোথায় কোন রণাঙ্গনে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন সেসময়ে যেমনভাবে মেজর খালেদ মোশাররফ বা জলীল কিংবা বিএনপির ক্যাপ্টিন হালীমরা করেছেন??? জিয়া মিয়া পাকিদের পরিকল্পনা মাফিক চট্টগ্রামের সেনানিবাসে নিজের স্ত্রী পুত্রকে রেখে তার বাহিনী নিয়ে শহরে আসে ভাব দেখার জন্যে। সেইসময়ে তাঁকে ধরে নিয়ে কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে লিখিত ব্যক্তব্য পাঠ করানও হয়। সেই সুযোগ পেয়েই তিনি ভারতে ঢুকে পরেন এবং সেখান থেকে সরাসরি কলকাতা চলেযান সেখানকার পরিবেশ দেখে পাকিদেরকে রিলে করার জন্যে। এরপর এই জিয়া মিয়া কলকাতা থেকে আর বের হননি কারন সেখান থেকেই তখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল কাজেই পাকিদেরকে চমকদার খবর পাঠানোর উপযুক্ত যায়গাই ছিল কোলকাতা। জিয়া মিয়া প্রথম থেকেই পাকিদের গুপ্তচর সেজে মুক্তিযুদ্ধে যোগদিয়েছিল কাজেই তার মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোন ইতিহাস নেই। এখন সেই লোকের সম্পর্কে কথা বললে যদি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে বলা হয় এমন কথা শুনলে মনে হয় এই কথা যিনি (বাচাল রিজভী) বললেন মুক্তিযুদ্ধের সময় বিহারীদের যে সাজা দিয়েছিলাম সেই সাজ তাঁকে (বাচাল রিজভীকে )... দিয়ে দেই। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সত্য জানা, সত্য বলা, সত্য পথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন