টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় গত ২৪ ঘন্টায় স্বামী-স্ত্রী ও ভাই বোনসহ নতুন করে ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মির্জাপুর উপজেলায় ১৪৫ জন করোনায় সংক্রমিত হলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম
নতুন সংক্রমিত ব্য্যক্তিদের মধ্যে মির্জাপুর উপজেলা সদরের মির্জাপুর বাজারের এক ব্যক্তি (৫৫), পোষ্টকামুরী গ্রামের এক নারী (৪৮), বাইমহাটী গ্রামের এক নারী (৩৫) ও এক পুরুষ (৩০), কুমারজানী গ্রামের একজন (৩২), ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের এক নারী (৫৫), সিংজুরী গ্রামের এক ব্যক্তি (৩০), গোড়াই ইউনিয়নের রাজাবাড়ি গ্রামের একজন (৩৬), নাজিরপাড়া গ্রামের একজন (৩২) ও আরেকজন (৩২), ভানুয়াবহ গ্রামের এক ব্যক্তি (৩০), সোহাগপুর গ্রামের এক ব্যক্তি (৩৪) ও অপর ব্যক্তি (২৫), পথহারা গ্রামের এক ব্যক্তি (৫৫), জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা গ্রামের এক ব্যক্তি (৬০) ও তাঁর স্ত্রী (৪৫), উফুল্কী গ্রামের এক ব্যক্তি (৩২), ওয়ার্শী ইউনিয়নের খৈলসিন্দুর গ্রামের এক তরুন (১৮) ও তাঁর বোন (১৬), আজগানা ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামের এক ব্যক্তি (৩০) রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, করোনার উপসর্গ থাকায় সংগৃহীত নমুনার মধ্যে ১৬ জুন ঢাকার জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) পাঠানো ৩৫টি নমুনার আংশিক এবং ২২ ও ২৩ জুন ঢাকা শিশু হাসপাতালে পাঠানো ৫০টি নমুনার মধ্যে আংশিক নমুনার প্রাপ্ত ফলে ওই ২০ জনের করোনা পজেটিভ হয় বলে আজ বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে।
এদিকে মির্জাপুরে একদিনে সর্বোচ্চ ২০ জন করোনায় আক্রান্তের খবরে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ, মির্জাপুওে করোনা আক্রান্তের সংখ্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারনে গত ১৬ জুন থেকে পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ডে (বাজার এলাকা) লকডাউন চলছে। আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত তা চলবে।
মির্জাপুরে সংক্রমিত ১৪৫ জনের মধ্যে ৪ জন মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন। অন্যরা নিজের বাড়িতে ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাদের আশপাশের বাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন