মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা জন বোল্টনের লেখা বইতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কথোপকথন নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং ‘কৌশলগত উপস্থাপনা’ রয়েছে। বুধবার তুরস্কের পক্ষ থেকে এই কথা বলা হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টর যোগাযোগ সচিব ফাহরেতিন আলটুন টুইটারে বলেন যে, এরদোগান ও ট্রাম্প দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক সুসংহত করার জন্য চেষ্টা করেছেন এবং ট্রাম্প ‘আগের কয়েকটি প্রশাসনের চেয়ে ন্যাটোর অন্যতম মিত্র তুরস্কের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ দিয়েছেন।’
বোল্টন তার বইতে দাবি করেছেন, ইরানের উপরে চাপানো নিষেধাজ্ঞাগুলো লঙ্ঘনের অভিযোগে নিউইয়র্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নীর অধীনে মার্কিন তদন্তাধীনে থাকা তুরস্কের রাষ্ট্রীয় ঋণদাতা হাল্কব্যাংককে নির্দোষ দাবি করে ট্রাম্পকে একটি মেমো দিয়েছিলেন এরদোগান। তিনি লেখেন, ‘ট্রাম্প তখন এরদোগানকে বলেছিলেন যে, তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। ট্রাম্প ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যে, দক্ষিণ ডিস্ট্রিক্ট প্রসিকিউটররা তার দলের নয়, ওবামার দলের লোক ছিলেন। তাদেরকে প্রতিস্থাপন করে নিজ দলের লোকদের বসিয়ে এই সমস্যা সমাধান করা হবে।’
গত সপ্তাহে আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নীর পদ ছাড়তে জিওফ্রে বার্মানকে বাধ্য করা হয়েছিল। তার অফিস ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডলফ গিয়ুলিয়ানিকে নিয়েও তদন্ত করছে।
আলটুন টুইটার পোস্টে বলেন, ‘সাবেক উচ্চ-পদস্থ মার্কিন কর্মকর্তার দ্বারা রচিত একটি বইয়ের সাম্প্রতিক প্রকাশনার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আমাদের নেতা প্রেসিডেন্ট এরদোগানের কথোপকথনের বিভ্রান্তিকর, একতরফা এবং কৌশলগত উপস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, হাল্কব্যাংক মামলার কারণে আঙ্কারা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার নীতিগত পার্থক্য এবং তুরস্ক কর্তৃক রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনাসহ বিভিন্ন কারণে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আলতুন বলেন যে, হাল্কব্যাংক ইস্যুসহ ‘জাতীয় এবং ব্যক্তিগত’ সব ক্ষেত্রেই এরদোগান তুরস্কের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
হাল্কব্যাংক এবং এর নির্বাহীদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন যে, তারা ইরানের উপরে চাপানো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়াতে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইরান, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সামনের সাড়ির সংস্থাগুলোকো ব্যবহার করেছিল। এ বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আগামী ৩০ জুন একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন