বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খুঁজে বেড়াচ্ছে সরকার : আলোচনা সভায় ডা. জাফরুল্লাহ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকার অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খুঁজে বেড়াচ্ছে। করোনা সমস্যাটা কিভাবে সমাধান করবে, সেটা সরকারের চিন্তার মধ্যে নেই। গতকাল ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গেরিলা কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকরোনা সংক্রমণ থেকে রোগ মুক্তিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তার চিকিৎসা ব্যয় সর্ম্পকে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকারের কোন চিন্তা-ভাবনা নেই। এখনো মূল প্রবাহ আসেনি। আসবে এ মাসের পরে। যখন গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি বলেন, জাতীয় ওষুধ নীতির নিয়ম বদলালে ওষুধের দাম অর্ধেক হবে। এজন্য সুস্থ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দরকার। জনগণ দাবি ওঠানো ছাড়া এটা সম্ভব না। এর পরিবর্তনের জন্য জনগণের পক্ষ থেকে আওয়াজ আসতে হবে।

আলোচনার শুরুর বক্তব্যে ডা. মুহিবুল্লাহ খোন্দকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা এবং ওনাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেয়া ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রোগ মুক্তিতে সহায়ক হয়েছে। তিনি বলেন, ভাই (ডা. জাফরুল্লাহ) আমাদের বলেছেন, দুই নেত্রী তার খোঁজ-খবর নেয়ায় উনি মানসিক শক্তিও পেয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসকরা ওনার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এছাড়া দেশের অগণিত মানুষ ফোন দিয়ে ওনার স্বাস্থ্যের খবর নিয়েছেন।

আলোচনা সভায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মামুন মোস্তাফি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা নেগেটিভ হলেও বুকের ৮০ শতাংশ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রামের একজন মানুষ ও কৃষক যে সেবা নিতে পারেন না, তিনি তা গ্রহণ করেন না। উনার করোনা বিজয়ী হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় হলো তার মনোবল। ঢাকা মেডিকেলে তার জন্য কেবিন রেডি করেছিলাম। কিন্তু তিনি বলে দিয়েছেন ওখানে থেকে গ্রামের একজন মানুষ চিকিৎসা নিতে পারবে না, আমিও নিবো না। গ্রামের কোন মানুষের এখান থেকে মৃত্যু হলে আমারও হবে।

তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ আমার ৩৫ বছরের চিকিৎসা জীবনে সবচেয়ে ডিফিকাল্ট পেশেন্ট। আমি তার চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেছি। এ সময় তিনি আরো বলেন, ডায়ালাইসিস রোগীদের করোনা হলে চিকিৎসা দেয়ার মতো হসপিটাল বাংলাদেশে নেই। তবে এখানে ডাইলাইসিস রোগীদের করোনা চিকিৎসার জন্য আইসিইউসহ সম্পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি ইউনিট তৈরি করেছেন তিনি।
ডা. মোস্তাফি বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যে তার একাত্মতাবোধ, তা আমি আর কারো মাঝে দেখিনি। তার প্রতি দেশের মানুষের যে ভালোবাসা ছিলো, তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকলে দেখা যায়। প্রতিটা মানুষের দোয়া ছিলো আল্লাহ তুমি এই মানুষটাকে বাঁচিয়ে রাখো।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ২৬ জুন, ২০২০, ৮:৪৬ পিএম says : 0
চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন সরকার নাকি অন্ধকার ঘরে বিড়াল খুঁজে বেড়াচ্ছে। এর ব্যাখায় তিনি বলেছেন করোনা মোকাবেলায় সরকারের কোন চিন্তা-ভাবনা নেই। কথাটা কি তিনি সত্য বলেছেন??? সরকার হয়ত তার কাজে বিফল হতে পারে কিন্তু কাজ করছেনা এটা মানা যায়না। চিকিৎসক সাহেব আরো বলেছেন জাতীয় ওষুধ নীতির নিয়ম বদলালে ওষুধের দাম আর্ধেক হবে। এটা অবশ্যই ভাববার বিষয়। তারপরও এই কারনেও অন্ধকার ঘরে বিড়াল খুঁজার বিষয় আসে না। ঔষুধ নীতি এটা একটা কঠিন বিষয় এটা নিয়ে ডাক্তার সাহেবরা কিংবা দেশের ঔষধ বিষয়করাই আলোচনা করবেন এবং সেটা জনগণের সামনে এনে জনগণের সমর্থন নিয়ে আন্দোলন করবেন। তিনি অবশ্য তার বক্তব্যে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মানে তাঁকে নেতা মেনে তার পিছনে এসে আওয়াজ তুলতে বলেছেন যানাকি কোন বাস্তব নয়। চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের সম্পদ এটা অবশ্যই মানতে হবে। কিন্তু তিনি এখন চিকিৎসার চেয়ে নেতাগিরিতে মনোনিবেশ করেছেন যেজন্যে বর্তমানে তিনি সেই প্রবাদ “না ঘরকা না ঘাটকা” অবস্থায় আছেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এখন তিনি হয়েছেন পাকিদের দালাল যেটা নাকি ছিল জিয়া মিয়া যে জন্যে এখন তার লাশ নিয়ে টানা হেচড়া হচ্ছে। আবার মেজর জলীল একজন সুপ্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লার চেয়েও অনেক অনেক অবদান ছিল জলীলের তারপর তিনি পাকিদের দালাল প্রমাণিত হওয়ায় আজ তারমত একজন নেতাকে দেশের কেহই স্মরণ করেনা। আবার ড. ইউনুস তিনিও একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হয়ে রাজনীতিতে এসে নিঘৃত অবস্থায় আছেন। ডাক্তার সাহেব বহু বছর ধরে পাকিদের সমর্থিত দল বিএনপি-জামাত কে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে আসছিলেন কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে বিএনপি-জামাত তার কোন উপদেশ গ্রহণ করেনি বা তাঁকে সেভাবে মর্যাদাও দেয়নি। এবার ড. কামাল হোসেনের (উকিল মিয়া) সাথে মিলে নির্বাচনের রাজনীতি করতে গিয়ে কিছুটা সম্মান পেলেও কোন দিক থেকে বিজয়ী হতে পারেননি এটাও ওনার ভাবার বিষয়। সেজন্যেই আমি ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বলবো তিনি যেন পাকিদের দালালী ছেড়ে দিয়ে নিজের পেশায় মননিবেশ করেন তাহলে দেশের জন্যে তিনি আরো অনেক কিছু করতে পারবেন। এমনকি আজ ওনার যে আবিষ্কৃত যন্ত্র সেটাও হয়তো সংশোধন করে দেশের কাজে লাগানো যেত যদি সরকার তার পক্ষে থাকতো। আল্লাহ্ ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সুস্থ রাখুন এবং দেশের জন্যে অবদান রাখার যোগ্যতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন