শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

হাইকোর্টের রায় : তাদের অপরাধের বিচার শিশু আদালতেই হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

মোবাইল কোর্ট শিশুদের শাস্তি দিতে পারবে না। ইতঃপূর্বে যেসব শাস্তি দেয়া হয়েছে সেসবও অবৈধ। এ রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল এ বিষয়ক মামলার রায় প্রকাশিত হয়েছে। ৩১ পৃষ্ঠার এ রায় দিয়েছেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রায় প্রকাশের বিষয়টি জানিয়েছেন মামলায় রিটের পক্ষের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম এবং ইশরাত হাসান। রায়ে মোবাইল কোর্টের দেয়া ১২১ শিশুর দন্ডাদেশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

রায়ে বলা হয়, শিশুর বিরুদ্ধে যেকোনো অভিযোগের বিচার শুধু শিশু আদালতেই হতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত দূরের কথা, অধঃস্তন আদালতের কোনো বিচারক যদি শিশুদের বিচার করেন সেটিও আেইনি। আদালত বলেন, অপরাধ সংঘটনে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু একত্রে জড়িত থাকলেও শিশুর বিচার শুধু শিশু আদালতই করবে। অন্য কোনো আদালত শাস্তি দিলে তা অবৈধ হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত শিশুদের দন্ড দিতে পারবে না। কারণ, মোবাইল কোর্ট কোনো শিশুকে দন্ড দিলে সংবিধানের ৩০ এবং ৩৫ অনুচ্ছেদে মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে। ১২১ শিশুকে দন্ড দানের ক্ষেত্রেও মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম জানান, তার করা রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে চলতি বছর ১১ মার্চ এ বিষয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার। রুল চ‚ড়ান্ত করে আদালত তার রায়ে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে একই সময়ে ১২১ শিশুকে যে প্রক্রিয়ায় সাজা দেয়া হয়েছে তা মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং অমানবিক। একইসঙ্গে এই ধরণের সাজা প্রদান আমাদের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে বহির্বিশ্বে দেশের সুনামকে ব্যাহত করেছে। তাই এখনই তা বন্ধ করতে হবে। শিশুদের সাজা বাতিল করে আদালত বলেন, ১২১ শিশুর সাজা বাতিলের ফলে তারা যে পুরোপুরি নিষ্পাপ এটা প্রতিষ্ঠিত হলো। ভবিষ্যতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজার ছায়াও যেন তাদের জীবনে না পড়ে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া দন্ডাদেশে যশোর ও টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আটক ১২১ শিশুকে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দেয়া দন্ডাদেশ ও আটকাদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন। এ রুলের পরপরই শিশুদের মুক্তি দিয়ে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন