বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে চরাঞ্চল প্লাবিত, বন্যার পানি উঠছে বাড়িঘরে

ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২০, ৩:৩১ পিএম

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ৮ সেমিন্টমিটার এবং ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

এছাড়াও অন্যান্য নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরফলে নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়ে পানিবন্দি মানুষের আধিক্য। এ পর্যন্ত ২০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় পরিবারের লোকজনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে।এদিকে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ইন্দ্রগড়, ধনিরামপুর, শৌলমারী, জালির চর, কাইয়ের চর, বল্লভের খাষ ইউনিয়নের ইসলামের চর, চর কৃঞ্চপুর, কামারের চর, নারায়নপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ নিম্না চরাঞ্চল, নুনখাওয়া ইউনিয়নসহ সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ভূরুঙ্গামারী, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুরসহ উলিপুরের কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
আগাম বন্যার ফলে চরাঞ্চলের আবাদি ফসলাদি পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে পাট, ভুট্রা, কাউন,তিল, চিনা বাদাম ও সবজিক্ষেতের। অন্যের কাছে ঋণ নিয়ে ফসল আবাদ করে বড় ধরণের ক্ষতিতে দিশেহারা কৃষক। এছাড়াও সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের সিপের চর, খাসেরচরমহ বেশ কয়েকটি চরের মানুষ করোনার পর থেকে কোন সরকারি সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন।

কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগ পানিতে তলিয়ে যাওয়া চলতি আউশ মৌসুমের আবাদ ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনে মাঠে কাজ করছে উপজেলা কৃষিকর্মকর্তারা। এ পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সদর ও রৌমারী উপজেলায় ৩৭ হেক্টর আউশ, ৯৩ হেক্টর তিল এবং ৬ হেক্টর মরিচ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, এ মাসের শেষে ব্রহ্মপুত্র নদে আরোও পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন