শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

অভিনয় জীবনের চারযুগে আলমগীর

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২০, ১২:১৬ পিএম

দর্শকপ্রিয় নায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক আলমগীর তার অভিনয় জীবনের চার যুগ পার করেছেন। গত ২৪ জুন চারযুগ পূর্তি হয়। আদ্যোপান্তই একজন সিনেমার মানুষ, একজন সিনেমাপ্রেমী মানুষ। কলেজ জীবনে নাটকের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু হলেও ১৯৭২ সালের ২৪ জুন তিনি পরিচালক আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’র মাধ্যমে সিনেমায় আগমন করেন। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি’তে ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তির আগেই তিনি পরপর সিরাজুল ইসলামের ‘দস্যুরানী’, আজিজুর রহমানের ‘অতিথি’, আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’, মোহর চাঁদের ‘হীরা’ সিনেমায় কাজ শুরু করেন। এরপর আর তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এ পর্যন্ত ২২৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘ঝুমকা’। গায়ক হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে তিনি নিয়মিত গাইতেন। রাজধানীর গ্রীন রোডে একটি স্কুলে সৈয়দ আব্দুল হাদীর কাছে গান শিখেছিলেন। মোস্তফা মেহমুদের ‘মনিহার’ সিনেমায় সত্য সাহার সুর সঙ্গীতে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথায় প্রথম প্লে-ব্যাক করেন তিনি। কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। পরবর্তীতে আরো আটবার একই পুরস্কারে ভূষিত হয়ে বাংলাদেশের সব নায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার রেকর্ড করেন। ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি ‘আজীবন সম্মাননা’য় ভূষিত হন। বাচসাস’ পুরস্কারও পেয়েছেন তিনবার। আন্তর্জাতিক সম্মাননা ‘উত্তম কুমার সম্মাননা’, ‘কালাকার অ্যাওয়ার্ড’,‘ বেঙ্গল ফিল্ম অ্যা- কমার্স এসোসিয়েসন অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হয়েছেন। পরিচালক হিসেবে তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘নিষ্পাপ’ (১৯৮৬)। সর্বশেষ তিনি ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমাটি নির্মাণ করেন। দীর্ঘ চার যুগের অভিনয় জীবন মূল্যায়ন করতে গিয়ে আলমগীর বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, অভিনয় সম্পর্কে মূল্যায়ণ করার মতো অভিনেতা আমি নই। অভিনয়ের ব্যাপ্তি এতো বিশাল যে, যার শেষ দেখা এক জনমে সম্ভব নয়। অনেকেই আমাকে নানা বিশেষণে ভূষিত করেন। কিন্তু আমি সবসময়ই একজন অভিনেতা হবারই চেষ্টা করেছি। আমার আজকের অবস্থানের নেপথ্যে অবশ্যই আমার প্রথম সিনেমার পরিচালক যিনি আমাকে আবিষ্কার করেছেন শ্রদ্ধেয় আলমগীর কুমকুম ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে এমনভাবে নায়ক হতে শিখিয়েছেন, যেন আমি আকাশে উড়ে না যাই, ফলে এখনো মাটিতেই হাঁটি। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি পরিচালক মোস্তফা মেহমুদ, কামাল আহমেদ, সুভাষ দত্ত, খান আতাউর রহমান, চাষী নজরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, এজে মিন্টু, কাজী হায়াৎ, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, সাইফুল আজম কাশেম, মালেক আফসারী’সহ আরো অনেককে। তারা আমাকে হাতে ধরে অভিনয় শিখেয়েছেন। আমার সৌভাগ্য যে এমন গুণী পরিচালকদের সাহচর্য্যে অভিনয় শেখার সুযোগ পেয়েছি।’ আলমগীরের পুরো নাম মহিউদ্দীন আহমেদ আলমগীর। তার বাবা আলহাজ্জ্ব কলিম উদ্দিন আহমেদ (দুদু মিয়া) ‘মুখ ও মুখোশ’ সিনেমার একজন অন্যতম প্রযোজক ছিলেন।
ফাঁকা হয়েই রয়েছে এফডিসি
বিনোদন ডেস্ক: স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ৫ জুন চলচ্চিত্রের শূটিং শুরু করার কথা বলা হলেও, এফডিসিতে শূটিং হচ্ছে না। ব্যস্ততম এফডিসি এখন ফাঁকা পড়ে আছে। নতুন সিনেমার শুটিং শুরুতে আগ্রহ নেই নির্মাতাদের। শুরুতে এফডিসিতে কয়েকটি সিনেমার আংশিক শুটিং হলেও এখন আর হচ্ছে না। তারকাদের দেখার আশায় এফডিসির ফটকের সামনে সাধারণ মানুষের ভিড় নেই। এফিডিসির ফটক দিয়ে ঢোকার পর সবাইকে জীবাণুনাশক বুথের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে। ভিতরে ঢুকলেই শুনশান নীরবতা। আগে সমিতিগুলোতে সদস্যদের আনাগোনা থাকলেও এখন নেই। এফডিসির ভেতর প্রযোজক সমিতিতে নেই কর্ম চাঞ্চল্য। পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতিও ফাঁকা হয়ে থাকে। কলাকুশলীদের আড্ডার স্থল ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে রয়েছে। কেবল এফডিসির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অফিস করতে হয় বলে তারা আসা যাওয়া করেন। কবে আবার এফডিসি শুটিংয়ে ব্যস্ত হবে, তা এখন অনিশ্চিত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন