বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত

কুড়িগ্রামে আড়াই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত ৭৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২০, ১:০৩ পিএম

টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ দুটি নদীর অববাহিকার আড়াই শতাধিক চর ও নদী সংলগ্ন বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৭৫ হাজার মানুষ। শনিবার দুপুরে ধরলা পানি কুড়িগ্রাম ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৩ ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 


বন্যা কবলিত এলাকায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার পাট, সবজি ও বীজতলা নিমজ্জিত হয়েছে। গ্রামীণ সড়কগুলো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অনেক এলাকায়। চরের অধিকাংশ ঘর বাড়িতে পানি উঠেছে। অনেকেই উঁচু ভিটায় থাকলেও নিচু ভিটার বাসিন্দারা নৌকা ও চৌকির উপর আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্র ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ও সড়ক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারমান আইয়ুব আলী সরকার জানান, তার ইউনিয়নের ঝুনকারচর, রলাকাটা, ভগবতিপুর, পোড়ারচর, কালির আলগা, গোয়ালপুরী, রলাকাটা, চর পার্বতীপুর, চর ঘনেশ্যামপুর, সিপেরচরসহ ১৫টি চর প্লাবিত হওয়ায় কয়েকশ পরিবার পানিবিন্দ হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভূরুঙ্গামারী, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুরসহ উলিপুরের কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার চলতি মৌসুমের ফসলি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে পাট, ভুট্রা, সবজি ক্ষেত।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, আগামী দুই এক দিনের মধ্যে ধরলা ও তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন