করোনা চিকিৎসায় ভ্যাকসিনের আগেই আসতে যাচ্ছে অ্যান্টিবডি পদ্ধতি।বিজ্ঞানীদের ধারণা এই বছরেই বাজারে চলে আসতে পারে এই অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতি। অ্যান্টিবডি হলো শরীরেরই সেই অংশ, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। -সিএনএন
ভিক্টোরিয়ান যুগ থেকেই বিজ্ঞানীরা চিকিৎসায় প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছেন। ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীর সময় বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করে দেন, সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর প্লাজমা ব্যবহার করে আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। বর্তমানে করোনাভাইরাস চিকিৎসা দুটি দেশ যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ সফলভাবেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করছে। বিশেষত বাংলাদেশে এই পদ্ধতির প্রয়োগ ব্যাপকহারে হচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন ফ্লু যেমন সার্স ও মার্সের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতির সফল প্রয়োগ হয়েছিলো ।
তবে বিশ্বজুড়ে এই পদ্ধতির প্রয়োগ করতে হলে যথেষ্ঠ প্লাজমা পাওয়া নাও যেতে পারে। তাই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন মনোকনাল অ্যান্টিবডি তৈরির। যা তৈরি হবে ল্যাবরেটরিতে । অ্যান্টিবডির চেয়ে ভ্যাকসিন অবশ্যই কার্যকর পদ্ধতি। আর অ্যান্টিবডি চিকিৎসার মেয়াদ ২ থেকে ৩ মাস। তবে বিজ্ঞানীদের আশা ভ্যাকসিন আবিস্কারের আগে এটিই সবচেয়ে কার্যকর পদ্দতি প্রমাণ হতে পারে ।
বর্তমানে ১০২টি কোভিড - ১৯ অ্যান্টিবডি চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যে বেশ কয়েকটি বাজারে চলে আসতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন