জিম্বাবুয়েতে স্টক এক্সচেঞ্জে বেচাকেনা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। পাশপাশি, দেশের মুদ্রার পতন রুখতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সমস্ত ধরনের আর্থিক লেনদেন স্থগিত করতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে চূড়ান্ত অর্থনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে দিয়ে চলেছে জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার এই দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৭৮৬ শতাংশে এসে ঠেকেছে। ভেঙে পড়েছে মুদ্রা ব্যবস্থা। চলতি বছরে সে দেশের অর্থনীতি ১০ শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হতে পারে বলে ভবিষ্যৎবাণী করেছে বিশ্বব্যাংক। এই অবস্থায় দিন দু’য়েক আগেই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট এমারসন নানদাগুয়া। তার অভিযোগ, চলতি অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকার যে পদক্ষেপ করছে তা অগ্রাহ্য করে এখনও ‘অসাধু কাজকর্ম’ চলছে। এর বিরুদ্ধে সরকার কড়া পদক্ষেপ নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।
প্রেসিডেন্টের এই হুঁশিয়ারির ঠিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মোবাইল ফোন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন এবং শেয়ারবাজার বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করল সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্য টেলিকম সংস্থাগুলির মতো রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিসেলও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেইসঙ্গে ইকোনেটের মতো সংস্থা, যারা মোবাইল-আর্থিক পরিষেবা দেয় তাদের এই ব্যবসা আপাতত গুটিয়ে ফেলতে হবে।
এ বিষয়ে জিম্বাবুয়ের তথ্য মন্ত্রণালয়ে থেকে গত শুক্রবার প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোবাইল ভিত্তিক অর্থ লেনদেন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অন্তর্ঘাত করার চক্রান্ত চলছে। আর তাতে সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে সহযোগিতা করছে স্টক এক্সচেঞ্জ। প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্যই সামনে এসেছে। যে কারণে এই দুই ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মোবাইল-মানি প্ল্যাটফ্লর্মগুলি যতদিন না নিজেদের শুধরে নিচ্ছে এবং নির্দিষ্ট আইন ও নিয়ম মেনে আর্থিক লেনদন করছে ততদিন পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে বলে জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে সরকার।
এই নির্দেশিকা সম্পর্কে তাকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন জিম্বাবুয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের সিইও জাস্টিন বগোনি। যে কারণে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। একইভাবে এইই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন টেলেসেল-এর সিইও অ্যাঞ্জেলিনে ভেরে। সূত্র: ফিনান্সিয়াল টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন