বাংলাদেশের তৃণমূল ফুটবলের শুভেচ্ছাদূত হলেন জাতীয় পুরুষ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও নারী জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। বাংলাদেশ ফৃুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এ দু’জনকে তাদের তৃণমূল ফুটবল কার্যক্রমের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মনোনীত করেছে। রোববার তথ্যটি নিশ্চিত করেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ। তিনি বলেন, ‘জামাল ভূঁইয়া ও সাবিনা খাতুন দু’জনই এ দায়িত্ব পালনে সম্মতি দিয়েছেন। আমরা দেশের তৃণমূলের ফুটবল কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে চারটি জেলাকে বেছে নিয়েছি। এগুলো হচ্ছে-ঢাকা, ফেনী, নীলফামারী ও মাদারীপুর। জামাল ও সাবিনা এই চারটি জেলায় গিয়ে সেখানে তৃণমূল ফুটবল উন্নয়নে সবাইকে কাজে উদ্বুদ্ধ করবেন।’
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) গ্রাসরুট চার্টারে তিনটি ক্যাটাগরি রয়েছে। এগুলো হলো- ব্রোঞ্জ, সিলভার ও গোল্ড। এশিয়ার ২৮টি দেশ ইতোমধ্যে এই গ্রাসরুট কার্যক্রম শুরু করেছে। বাফুফে আগামী ডিসেম্বরে ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার জন্য এএফসির কাছে আবেদন করবে। সোহাগ আরো বলেন,‘আমরা এএফসির গ্রাসরুট কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত হতে পারলে সে আওতায় গ্রাসরুট কার্যক্রমগুলো সম্পাদন করতে পারবো। এ জন্যই আমরা দুই জন অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দিয়েছি। তাদের প্রধান কাজই হবে বাফুফের তৃণমূল কার্যক্রমের আওয়াতাধীন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকা।’
এ সময়ে দেশের ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম জামাল ভূঁইয়া। আর নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় মুখ সাবিনা খাতুন। দু’জনই জাতীয় দলের অধিনায়ক। এই দু’জনকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নতুন দায়িত্ব দিয়েছে। এএফসির গ্রাসরুট কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্তি হওয়ার আবেদন করার আগেই জামাল ও সাবিনাকে তৃণমূল ফুটবলের শুভেচ্ছাদূত মনোনীত করেছে বাফুফে। তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবল উন্নয়নের কাছে সম্পৃক্ত হতে পেরে দু’জনই দারুণ খুশি। তাদের এই দায়িত্ব দেয়ায় তারা বাফুফেকে ধন্যবাদ জানিয়ে রোববার এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। যেখানে জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজের সঙ্গে আমাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছে। এতে আমি খুব খুশি। আমি গর্ব ও সম্মানবোধ করছি। এমন একটি সুযোগ দেয়ার জন্য বাফুফেকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি চেষ্টা করবো এ দায়িত্ব পালনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে। যাতে দেশের ফুটবলের উন্নয়নে কিছুটা কাজ করতে পারি।’
নারী জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন,‘ধন্যবাদ জানাচ্ছি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে, আমাকে তৃণমূল ফুটবলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মনোনীত করার জন্য। তৃণমূল ফুটবল যেন আরো এগিয়ে যায়। এগিয়ে নেয়ার জন্য যেন কাজ করতে পারি। দেশের ফুটবল যেন আরো সমৃদ্ধ হয়।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন