আশুলিয়ায় একটি পুকুর থেকে ভাষমান অবস্থায় এক পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে আশুলিয়ার ধলপুর হাবুডাঙ্গা হ্যাচারীর মোড় এলাকার একটি পুকুরে তার মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মফিজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। এই দম্পতির মুন্নী আক্তার নামে ১২ বছরের মেয়ে রয়েছে।
নিহত রেবেকা আক্তার (৩৩) মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার মুন্সিকান্দি গ্রামের নবু শেখের মেয়ে। তিনি আশুলিয়ায় ডেকো নামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। স্বামী মফিজুলের বাড়িও রংপুর জেলায়।
নিহত গৃহবধূর মেয়ে মুন্নী আক্তারের বরাত দিয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদ হোসেন জনান, তার বাবা মফিজুল ফেরি করে বিভিন্ন এলাকায় লুঙ্গি বিক্রি করতো। তিনি ঢাকার মিরপুরে থাকতেন। এখানে তেমন একটা আসতো না। এক সপ্তাহ আগে রেবেকা মিরপুর থেকে মফিজুলকে ধলপুর হাবুডাঙ্গা হ্যাচারীর মোড়ে ডেকে আনে। পরে তার বাবা-মার মধ্যে ঝগড়া হলে মফিজুল আবার চলে যায়। শনিবার রাত ৯ টার দিকে রেবেকা আবার তার স্বামী মফিজুলের সঙ্গে দেখার করার কথা বলে বের হলেও আর ফিরে আসে না রেবেকা।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জনান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ধলপুর এলাকার একটি পুকুরে রেবেকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মফিজুল পলাতক রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা, পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারনা তার।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়েরের পক্রিয়া চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন