চট্টগ্রামের আনোয়ারায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। প্রথম দিকে শুধু বাইরে থেকে আসা একজনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও এখন গ্রাম ছেড়ে কোথাও যাননি এমন মানুষেরও করোনা শনাক্ত হচ্ছে। কিন্তু মানুষের মাঝে কমছে সচেতনতা। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। আর বাড়ছে নমুনা পরীক্ষার হারও। শুধু এ উপজেলাই নয়, ভীড় করছেন পাশ্ববর্তী কর্ণফুলী, বাঁশখালী, চন্দনাইশ উপজেলা থেকেও। এ পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িছেন ১শ ১০ জন। আর মৃত্যুও হয়েছে ১ জন। তবে সবার ঠিকানা আনোয়ারা হলেও বেশির ভাগ লোকই থাকেন শহরে।
রোববার (২৮ জুন) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জানান, করোনা নমুনা সংগ্রহের সময় থেকে এ পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আনোয়ারা, কর্ণফুলী, চন্দনাইশ ও বাঁশখালী উপজেলার ৬শত ৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। এদের মধ্যে আনোয়ারা উপজেলায় ১শ ১০ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়। তবে ৭ ও ৮ জুনের ৬৪ জনের নমুনার রির্পোট এখনো পর্যন্ত পাইনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। রবিবার ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অপরদিকে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থতার সংখ্যাও। এ পর্যন্ত ৩১ জন আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তবে আক্রান্ত ব্যক্তি ও স্থানীয়রা জানান, করোনা সনাক্ত হওয়ার পর থেকে নিজ ঘরে অবস্থান করে ব্যক্তিগত ভাবে চিকিৎসা নিয়েই তারা সুস্থ হয়ে উঠেন। অপরদিকে উপজেলায় অবস্থিত বহুজাতিক শিল্প কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড কাফকোতে শুধু ২৩ কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়। কাফকোতে দিনদিন বেড়েই চলছে আক্রান্তের সংখ্যা। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে কাফকোতে। তবে আক্রান্তদের কাফকোর নিজস্ব আইসোলেশনেই চিকিৎসা দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
আনোয়ারা থানা পুলিশের উপ সহকারি পুলিশ পরিদর্শক এমরান হোসেন খন্দকার জানায়, উপজেলায় ১শত ১০ জনের করোনা সনাক্ত হলেও আনোয়ারায় বসবাসরত আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৪ জন। অন্যরা তাদের স্থায়ী ঠিকানা আনোয়ারায় দিলেও তারা বসবাস করে চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ বলেন, আনোয়ারায় আক্রান্তরা চিকিৎসকের পরামর্শে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনেই রয়েছে। পুলিশ সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছে।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহেদ মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বাড়লেও কমছে মানুষের সচেতনতা। অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধিও, পড়ছেন না কেউ বা মাস্কও। প্রতিদিনই আনোয়ারায় করোনা নমুনা সংগ্রহ চলছে। এখানে আনোয়ারা ছাড়াও পার্শবর্তী উপজেলা থেকেও নমুনা দিতে আসে। এ পর্যন্ত ৬ শত ৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে আনোয়ারায় ১ শত ২ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ আসে। তবে ৬৪ জনের নমুনা রিপোর্ট এখনো আসেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন