রাজধানীর মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদনহীন অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ইনজেকশন ও সার্জিক্যাল পণ্য রাখার দায়ে ফার্মেসিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ইউনানীর সনদ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতো অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দেয়ার দায়ে ভুয়া ডাক্তার মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সময় হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সহকারী সুপার হাসিনুর রফমানকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল দুপুরে মতিঝিল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু। তিনি জানান, মিজানুর রহমান ইউনানী প্র্যাক্টিশনার বা হেকিম। কিন্তু তার কাছে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, পিএইচডিসহ নানা সার্টিফিকেট আছে। তার পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে সন্দেহ আছে। তিনি ইউনানী পড়ে এলোপ্যাথিক মেডিসিনে প্রেসক্রাইব করতেন। কিন্তু তিনি এলোপ্যাথিকে চিকিৎসা এবং ডাক্তার পরিচয় দিতে পারেন না। যেহেতু তিনি ইউনানী সনদধারী সেহেতু তিনি হেকিম পরিচয় দিতে পারেন। এছাড়া তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতো রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা করাতেন। এজন্য তাকে দুই বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, এক পর্যায়ে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদনহীন অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ইনজেকশন ও সার্জিক্যাল পণ্য পাওয়ায় ফার্মেসির শফিউল ইসলাম ও আব্দুল জলিলকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমানা; অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন