শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল ঠিক করতে বিতরণ কোম্পানিকে আল্টিমেটাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক করে দিতে সব ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল। বিতরণ কোম্পানিকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। পাশাপাশি এই অতিরিক্ত বিল করার জন্য যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের একটি বৈঠক সূত্র জানায়, কোন কোন গ্রাহকের অতিরিক্ত বিল এসেছে তা খুঁজে বের করবে বিতরণ সংশ্লিষ্টরা। এরপর সেই গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আবার গ্রাহক নিজে যদি মনে করেন তাদের অতিরিক্ত বিল এসেছে তিনিও স্থানীয় বিতরণ কোম্পানির অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ সংক্রান্ত একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে জানান, বিদ্যুৎ বিলের এই ভোগান্তি নিয়ে কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। তাতে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যেসব বিদ্যুৎ বিল অতিরিক্ত এসেছে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সেগুলো খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে। ৭ দিনের মধ্যেই সেগুলো সমাধান করতে হবে। এছাড়া এই যে অতিরিক্ত বিল করেছে তার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে হবে। এরপর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ বলেন, আমরা ৩০ জুন পর্যন্ত সারচার্জ ছাড়া বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা বললেও যাদের ক্ষেত্রে এই অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের ক্ষেত্রে আমরা জরিমানা করবো না। বিতরণ কোম্পানিগুলোকে দ্রæততার সঙ্গে এই অতিরিক্ত বিল সমন্বয় করে দিতে বলা হয়েছে। টাস্কফোর্সের কমিটিগুলো কাজ করছে। আশা করছি দ্রæতই গ্রাহক এই ভোগান্তি কাটিয়ে উঠবে। যারা এই বিল দিতে পারছেন না তারা যদি বিতরণ কোম্পানিতে যোগাযোগ করেন তাহলে তাদের বিল ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ এখানে ব্যবসা করতে বসেনি। আমরা জনগণের সেবা করছি। তাদের কোনও ভোগান্তি হলে তার দায় আমাদের। সেটির সমাধান আমাদেরই করতে হবে।
জানা যায়, এখন অতিরিক্ত বিলের সঙ্গে বিল পরিশোধের ক্ষেত্রেও বিড়ম্বনায় পড়ছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীনের কোনও কোনও সমিতি গ্রামে গ্রামে গিয়ে বুথ করে বিল নিচ্ছে। কিন্তু ঢাকায় করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে বিল দেওয়া গ্রাহকের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিদ্যুৎ বিল নেওয়ার জন্য ঢাকায় কোনও বুথ করা যায় কি না সে বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে মার্চ এবং এপ্রিল মাসে মিটার রিডাররা কোনও রিডিং নিতে পারেনি। আগের মাসগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে গড় বিল করে দেন। কিন্তু মে মাসে এসে অনেক এলাকায় রিডিং নেওয়া হয় আবার কোথাও কোথাও নেওয়া হয়নি। কিন্তু অধিকাংশ গ্রাহক অভিযোগ করেন তাদের বিল গত কয়েক মাসের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি করা হয়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রথম দিকে তা স্বীকার না করলেও যখন এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ আসতে শুরু করে তখন বিষয়টি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় অবহিত হয়। এ অবস্থায় গত সপ্তাহে এ অতিরিক্ত বিলের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দিতে দুটি কমিটি করে দেয়। সাতদিনের মধ্যে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন