বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মতলবের মেঘনা নদীর বালু কাটা বন্ধে হাইকোর্টের স্থায়ী আদেশ

মতলব উত্তর (চাঁদপুর)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২০, ৭:০৯ পিএম

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মতলব উত্তর অংশে ১৯টি মৌজায় বালু কাটা বন্ধে মহামান্য হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত একটি মহল মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মোহনপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক ও আওয়ামীলীগ নেতা কাজী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অবৈধ বালু কাটা বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট ২৩ জুন মেঘনা নদীতে ওই ১৯টি মৌজায় বালু উত্তোলন বন্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
মেঘনা নদীর মতলব উত্তরের মৌজাগুলো হচ্ছে, জহিরাবাদ, জয়পুর, নাওভাঙ্গা, উত্তর পোয়ারচর, এখলাছপুর, হোগলা হাশিমপুর, নীলেরচর, মোহনপুর, বাহের চর, বোরচর, চর ইলিয়ট, রাম গোপালপুর, কাউয়ারচর, বাহাদুরপুর, কালীগঞ্জ দিয়ারা, চর সুগন্ধি, ষাটনল, নাসিরাকান্দি, নাপিতমারা চর।
রিট পিটিশনকারী কাজী মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প মতলব উত্তরে অবস্থিত। এই সেচ প্রকল্পের ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য এবং মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের লক্ষে চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট মো. নুরুল আমিন রুহুল মতলব উত্তরের জনগণের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবর ডিও লেটার প্রদান করেন। ওই ডিও লেটারের পরিপ্রেক্ষিতে ও মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদনে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চে মতলব উত্তরের ১৯টি মৌজায় বালু কাটা বন্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মামলা পরিচালনা করেন, সাবেক আইনমন্ত্রী ও সিনিয়র আইনজীবি ব্যারিষ্টার সফিক আহম্মেদ। তাকে সহায়তা করেন এ্যাডভোকেট মাহবুব সফিক ও এ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন