রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় একুশ দিনের লকডাউন ঘোষণা করলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকেলে নগর ভবনে প্রস্তুতি বৈঠক শেষে মেয়র এই ঘোষণা দেন। লকডাউন এলাকায় করোনা নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া অন্যান্য জরুরী সেবাগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আগামী ৪ জুলাই ভোর ৬ টা থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীর ওয়ারী এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেন মেয়র। এসময় সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে। তবে চলাচলের জন্য দুটি সড়ক খোলা থাকবে।
এর আগে গত সোমবার করোনাভাইরাসের বিস্তারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ রেড জোন হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারী এলাকাকে লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য সম্মতি দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে লকডাউন বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ওয়ারী জোনকে লকডাউন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি রবিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পৌঁছে। সোমবার ওই চিঠিটি কিছু সুপারিশসহ লকডাউন বাস্তবায়নে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পাঠায়। এটি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (নগর উন্নয়ন-২ অধিশাখা) সায়লা ফারজানাকে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সায়লা ফারজানা বলেন, ওয়ারী বড় এলাকা হওয়ায় একসাথে লকডাউন করা যাবে না। ছোট ছোট জোনে ভাগ করা হবে। জোনভিত্তিক ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিগুলো ছোট ছোট জোন লকডাউনে সহায়তা করবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকদেরকে প্রয়োজনীয় সুবিধা তারা নিশ্চিত করবে। কবে থেকে লকডাউন হবে তা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, ওয়ারী এলাকায় তিনটি প্রধান সড়ক এবং পাঁচটি গলিপথ লকডাউনের আওতায় আসবে। প্রধান সড়কগুলো হলো টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড এবং জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন পর্যন্ত। গলিপথগুলোর মধ্যে রয়েছে লারমিনি স্ট্রিট, হরে স্ট্রিট, ওয়ার স্ট্রিট, র্যাংকিন স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট। এ সব কটি সড়ক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন