শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অনোয়ারায় জেএসসি’র রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে স্কুল ছাত্র দুর্জয়ের আত্মহত্যা

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২০, ৭:০৬ পিএম

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় তিন ধরে তিন অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও জন্ম তারিখ সংশোধন করতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেচে নিলেন জেএসসি পরীক্ষার্থী দুর্জয় দাশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বিকালে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কৈনপুরা জলদাশ পাড়া এলাকায়। দুর্জয় ওই এলাকার মিলন দাশের পুত্র। সে কৈনপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, কৈনপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী দুর্জয় দাশ করোনা পরিস্থিতির কারণে জেএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রমের বিষয়টা জেনেছে অনেক পরে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে জানতে পারে জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী তার বয়স তিন বছর বেশি হওয়া রেজিস্ট্রেশন হবেনা যেনে চাতরী ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্রে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস ও নিজ বিদ্যালয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। এদিকে স্কুল থেকে জানানো হয় ৩০ জুনের পর রেজিস্ট্রেশন আর হবেনা। দুর্জয় দাশ এই অফিস থেকে ওই অফিসে দৌড়াদৌড়ি করে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এবং জেএসসির রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে ক্ষোভে,অভিমানে অবশেষে আতœহত্যা করে।
দুর্জয়ের ছোট বোন পুষ্পদাশ জানায়, বিকালে আমি ভাইয়াকে খুঁজতে গিয়ে ঘরের সাথে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আমি দা দিয়ে রশি কেটে ভাইয়াকে কাটে শোয়ায়।
দুর্জয় দাশের পিতা মিলন দাশ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, গরীব হলেও বড় আশা ছিল ছেলেকে লেখাপড়া করানোর। আমরা অশিক্ষিত মানুষ জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে আমদের ধারণা নেই। আমার ছেলের বয়স ১৩ বছরের বেশি নয়। কাগজে কি লিখল জানিনা। স্কুল থেকে বলেছে বয়স বেশি তাই ঠিক করতে না পারলে রেজিস্ট্রেশন হবেনা। এই অপমানে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে।
কৈনপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু চন্দ্র দেবনাথ জানান, বয়সের ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ডের নীতিমালা আছে। ওই শিক্ষার্থীর বয়স জন্ম নিবন্ধন ও পিএসসি সনদে বেশি হওয়ায় তাকে তা সংশোধন করে আনতে বলেছি। বেশি বয়সে কেন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করালেন এই প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, তখন আমরা এটা খেয়াল করিনি।
অঅনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ জানান, কৈনপুরা এলাকায় স্কুল ছাত্র আত্মহত্যার বিষটি শুনেছি তবে এ ব্যাপারে থানা কোন অভিযোগ হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন