বিশ্বে কয়েক বছর ধরেই সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরনো পোশাকের কদর বাড়ছিল। তবে বৈশ্বিক মাহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালে এর বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ম‚লত করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। এ অবস্থায় বাজেট নিয়ে সচেতনরা নতুনের বিপরীতে নজর দিচ্ছেন পুরনো কাপড় ও অন্য ফ্যাশন পণ্যের দিকে। ফলে সামগ্রিকভাবেই সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের পাশাপাশি ব্যাগ ও রোদচশমার মতো পণ্যের বাজার বড় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এক্ষেত্রে নামি ব্র্যান্ড হলে দামও মিলছে ভালো। গবেষণা ও বিশ্লেষক সংস্থা গেøাবালডাটা এবং বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন থ্রিফট ও কনসাইসমেন্ট প্লাটফর্ম থ্রেডআপ যৌথভাবে এক বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পুরনো পোশাক বিক্রি হচ্ছে। ২০২৪ সালে এ বিক্রি ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে গিয়ে পৌঁছতে পারে। ওই প্রতিবেদনেই বলা হয়, ২০১৯ সালে ৬ কোটি ২০ লাখ নারী পুরনো পোশাক কিনেছিলেন। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৬০ লাখ। ফলে স্পষ্টতই দিন দিন পুরনো কাপড়সহ ফ্যাশন পণ্যের ক্রেতা বাড়ছে। বিষয়টি একইভাবে সেকেন্ডহ্যান্ড ফ্যাশন পণ্যের বিষয়ে মানুষের চিরাচরিত মনোভাবের পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, চলতি বছর সেকেন্ডহ্যান্ড পণ্যের অনলাইন বাজারের ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটবে। অথচ নিয়মিত খুচরা বিক্রির সংকোচন হবে ২৩ শতাংশ। থ্রেডআপ আরো জানিয়েছে, বিশেষ কিছু ব্র্যান্ডের পুরনো পণ্য ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। এ নিয়ে থ্রেডআপ একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় রয়েছে চামড়ার বুটের জন্য বিখ্যাত ফ্রাই, টরি বার্চ, কেট স্পেড ও কোচের মতো ফ্যাশন ব্র্যান্ড। পুরনো পোশাক ক্রয় নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে হীনম্মন্যতা কেটে যাচ্ছে। ফলে রিসেল মার্কেট দিন দিন ম‚লধারায় উঠে আসছে বলে জানান থ্রেডআপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস রেইনহার্ট। ইন্টারনেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন