শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উপসর্গে মৃত্যু ১

বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন চলছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বরগুনার বামনায় আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের অনেক এলাকায় লকডাউন চলছে।

যশোর ব্যুরো জানায়, যশোরে করোনা আক্রানেতর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকাল আরো ৪৪ জন নতুন করে আক্রান্তসহ এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬শ’। মৃত্যু হয়েছে ১২জন। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সংক্রমণরোধে যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। সংক্রমণের হার মুলত ঈদের পর থেকেই বেড়েছে। জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জোর প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এদিকে, যবিপ্রবির ল্যাবে মঙ্গলবার মোট ৫২ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে যশোর জেলারই ৪৬ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ অর্ণব জানান, যশোরের ১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৬ জনের ও মাগুরার ৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের নমুনাতে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণে আরো ৩ জনের মৃত্যুসহ ১২৮ জন আক্রান্ত হবার মধ্যে দিয়ে পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলাতে করোনা সংক্রমণে একজন করে মারা গেছেন। যার মধ্যে বরিশালের মেহেদিগঞ্জের ৭৫ বছর বয়সী একজন ঢাকার একটি হাসপাতালে, বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন পটুয়াখালীর গলাচিপার ৬২ বছর বয়সি এক নারী এবং ভোলা সদর হাসপাতালে সদর উপজেলার বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে করেনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ৬০। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলে আরো ৬০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৮৪৮ জনের মধ্যে ৮০৩ জন সুস্থ হয়ে উঠল।
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্ট্য়া শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এপর্যন্ত ঐ ওয়ার্ডে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়াল ৬০। আর হাসপাতালটির করোনা ওয়ার্ডেও এপর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করেনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১৩৭ জন চিকিৎসাধীন ছিল। এরমধ্যে করেনা ওয়ার্ডেই এযাবতকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৭৭ জন চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলে নুতন আক্রান্ত ১২৮ জনের মধ্যে বরিশাল জেলায়ই সংখ্যাটা ৫৫। জেলাটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ জন বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটল। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল মহানগরীতেই সংখ্যাটা প্রায় ৪৫। এ জেলা ও মহানগরীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে নয়। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে দেড় হাজার অতিক্রম করে আরো ১৪ যোগ হল। মৃতের সংখ্যা ২৩। মহানগরীতে আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ১৩শ”। মৃত্যু হয়েছে ১১জনের।
পটুয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৫ জন আক্রান্ত ও একজনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৩৯১ ও ১৭’তে। বরগুনাতে এসময়ে নতুন করে আরো ২৪ জন আক্রান্ত হবার মধ্যে দিয়ে মোট সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৪৭। মোট মৃত্যু হয়েছে দুজনের। ভোলাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১২জন আক্রান্ত ও একজনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২৮৬ ও ৪ জনে। ঝালকাঠিতে গত ২৪ ঘণ্টায় পুনরায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে। নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৯জন। জেলাটিতে মোট আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ২০২ ও ৮ জন। পিরোজপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় আগের তিনদিনের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। এসময়ে জেলাটিতে নতুন করে ৩ জনের আক্রান্তের কথা বলেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আগের দিন যা ছিল ৯। মোট আক্রান্ত ২০৮, মৃত্যু হয়েছে ৮জনের।

স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ১৪৮ জন। নতুন করে কোন মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি, এ যাবত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১১৪ জনের। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য জানায়।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুরে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ নতুন করে আরো ১৮জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে চাঁদপুর সদরে ৮জন, হাজীগঞ্জে ২জন, শাহরাস্তিতে ৩জন, মতলব উত্তরে ৩জন, মতলব দক্ষিণে ১জন, এবং হাইমচরে ১জন রয়েছে।
নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)সহ পুলিশ লাইন্সসের ৮ সদস্য রয়েছেন। চাঁদপুর জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৭৪ জন। এরমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৫৭জন। চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় স‚ত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে ১০৫টি রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ১৮টি পজেটিভ। বাকি ৮৭ নেগেটিভ। জেলায় ৮৭৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হচ্ছে; চাঁদপুর সদরে ৩২৯জন, মতলব দক্ষিণে ৯৬জন, শাহরাস্তিতে ১০০জন, হাজীগঞ্জে ৯০ জন, ফরিদগঞ্জে ৮৪জন, হাইমচরে ৭০জন, কচুয়ায় ৪০জন এবং মতলব উত্তরে ৬৫জন চাঁদপুর জেলায় করোনায় মৃত ৫৭জনের মধ্যে হাজীগঞ্জে ১৬জন, চাঁদপুর সদরে ১৫ জন, ফরিদগঞ্জে ৭জন, কচুয়ায় ৫ জন, মতলব উত্তরে ৮জন, শাহরাস্তিতে ৪জন এবং মতলব দক্ষিণে ২ জন।
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ভোলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আরো একজনের নমুনার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তার নাম খোরশেদ আলম। গত ২৪ জুন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে লঞ্চে তার মৃত্যু হয়। তিনি ভোলা শহরের কালি বাড়ি রোডের বাসিন্দা ছিলেন। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ জনে। অপরদিকে, নতুন করে আরো ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮৬ জনে। এদের মধ্যে ১০০ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ্য হয়েছেন।
নতুন আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজনসহ ৮ জন ভোলা সদর উপজেলার। এছাড়া বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার দুইজন করে রয়েছে। ভোলায় মোট আক্রান্ত ২৮৬ জনের মধ্যে জেলা জজ ও তার স্ত্রী, চরফ্যাশন ও দৌলতখান উপজেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ৯ জন চিকিৎসক, ২২ স্বাস্থ্যকর্মী, কর্মকর্তাসহ পুলিশের ১১ সদস্য, ৮ জন কোস্টগার্ড সদস্য, ব্যাংক কর্মকর্তা ১৩ জন ও ১৫ জন শিক্ষক রয়েছে। এছাড়া চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাচন কর্যালয়ের একজন, সিভিল সার্জন কর্যালয়ে দুই জন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক জন ও ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালকসহ দুই জন রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলে নতুন করে এক চিকিৎসক ও দুই পুলিশ সদস্যসহ ৪০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট আক্রান্ত হলো ৬১২ জন। দেলদুয়ার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নারী মেডিকেল অফিসারসহ ৪ জন, মির্জাপুর মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের দুই পুলিশ সদস্যসহ ১১জন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১৭জন, নাগরপুরে ১জন, কালিহাতীতে ১জন, ঘাটাইলে ২জন গোপালপুর উপজেলায় ৪জন রয়েছে। জেলায় মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২২৫ জন। মারা গেছে মোট ১২ জন। নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে ৩৪৭টি। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবোধায়ক ডা. সদর উদ্দিন জানান, হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে সর্বমোট ২৫জন ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে ১৭জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ৭জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শেরপুর জেলা সংবাদাতা জানান, শেরপুরে নতুন করে আরও ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ২৪৪ জন। এদের মধ্যে ১৫১ জন সুস্থ হয়েছেন। আর ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১পুলিশসহ ৩জন, শেরপুর সদরে ৩, শ্রীবরদীতে ২ ও নকলা উপজেলায় ১জন রয়েছেন। গত সোমবার রাত ১১টায় প্রদত্ত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ এসব তথ্য জানান। আক্রান্তদের মধ্যে নয়জন চিকিৎসকসহ ৪২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ২৫ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫শ’ ৯৭ জনের, পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ হাজার ৪শ’ ৫১ জনের। ২৯ জুন পরীক্ষা করা হয় ১শ ৪৫ জনের। আর পরীক্ষা করার বাকী রয়েছে ১শ ৪৬ জনের।
গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, গোপালগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ স্বাস্থ্যকর্মীসহ নতুন করে আরও ২৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩৮ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩১৫ জন। গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন ১০ জন। মঙ্গলবার সকালে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ সদরে ৬ জন, মুকসুদপুরে ৫ জন ও কোটালীপাড়ায় ৭ জন, কাশিয়ানীতে ৩ জন ও টুঙ্গিপাড়ায় ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্তদের বসতবাড়ি সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পারমর্শ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ৫১২২ টি নম‚না পরীক্ষা করা হয়েছে।এর মধ্যে মুকসুদপুরে ১৫৪ জন, কাশিয়ানীতে ১৩৬ জন, গোপালগঞ্জ সদরে ১৭২ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ৯৮ জন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ১০৩ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে।
কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টর জানান, কুষ্টিয়া নতুন করে আরো ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত ৫৯৮ জন কোভিড রোগী সনাক্ত হল। করোনায় এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছে ৯ জন। গতকাল রাত ১০টার পর কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন। কোভিড-১৯ আপডেটে জানানো হয়, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৯ জুন মোট ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার ১৪৪ টি নমুনা ছিল। কুষ্টিয়া জেলায় সোমবার নতুন করে আরো ২১ জন আক্রান্ত বলে সনাক্ত করা হয়েছে (এবং ২ টি ফলোয়াপ পজেটিভ)। নতুন আক্রান্তের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে ১ জন, ভেড়ামারায় ১ জন, মিরপুরে ১ জন, সদরে ১৬ জন, কুমারখালীতে ১ জন ও খোকসায় ১ জন।
কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলায় আক্রান্ত ১৬ জনের ঠিকানা কেজিএইচ কোয়ার্টার ২ জন, বৈদ্যনাথপুর ১ জন, পুর্ব মজমপুরে ২ জন, হরিশংকরপুর ১ জন, বড়বাজার ১ জন, হরিপুর ১ জন, আড়ুয়াপাড়ায় ৩ জন, কুমারগাড়া ১ জন, ফায়ার সার্ভিসের ১ জন ও জুগিয়া স্কুলপাড়ায় ৩ জন। ভেড়ামারা উপজেলায় আক্রান্ত ব্যাক্তির ঠিকানা ভেড়ামারা পৌরসভা। কুমারখালী উপজেলায় আক্রান্ত জনের ঠিকানা জয়নাবাদ (চাপড়া)। মিরপুর উপজেলায় আক্রান্ত জনের ঠিকানা সুলতানপুর। দৌলতপুর উপজেলায় আক্রান্ত জনের ঠিকানা তারাগুনিয়া। খোকসা উপজেলায় আক্রান্তদের ঠিকানা একতারপুর ও জানিপুর। নতুন আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন, মহিলা ৬ জন। এই নিয়ে কুষ্টিয়ায় সোমবার পর্যন্ত ৫৯৮ জন কোভিড রোগী সনাক্ত হল। (বহিরাগত বাদে)। উপজেলা ভিত্তিক রোগী সনাক্তের মধ্যে দৌলতপুর ৮০, ভেড়ামারা ৭৫, মিরপুর ৪২, সদর ৩০১, কুমারখালী ৭৭ ও খোকসা উপজেলায় ২১ জন। মোট পুরুষ রোগী ৪৪৪ ও নারী ১৫৪ জন। সুস্থ হয়ে ছাড় পেয়েছেন মোট ২০৬ জন। উপজেলা ভিত্তিক সুস্থ ২০৪ জন।
বামনা (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বরগুনার বামনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের (প‚র্ব সফিপুর গ্রামের) ইউপি সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা বাবুল সিকদার গতকাল বিকাল ৫টায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
জানা যায়, তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে বামনা হাসপাতালে ভর্তি হন। তার শারীরিক অবস্থা অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখানে তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সকাল থেকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে লাইফ সার্পোটে রাখা হলেও বিকাল ৫টায় তার মৃত্যু হয়। তার সাথে থাকা ছোট ভাই নান্টু সিকদার ইউপি সদস্যর মৃত্যুর খবর জানান।
পুঠিয়া (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পুঠিয়ায় দুই পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত দুই পুলিশ সদস্যরা হলো, পুঠিয়া থানার কনস্টেবল আলিমুল বারেক ও মনিরুল ইসলাম। গতকাল সকালে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার নাজমা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাঁর পুঠিয়া থানায় কর্মরত অবস্থায় আক্রান্ত হন। পরে তাদের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য কর্মীরা তার নমুনা সংগ্রহ করে রামেক হাসপাতালে ভাইরোলজি বিভাগে পাঠায়। মঙ্গলবার তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বর্তমানে আলিমুল বারেক উপজেলা সদরের একটি ভাড়াবাসায় এবং মনিরুল ইসলাম পুঠিয়া থানা অস্থায়ী ব্যারাকে আইসোলেশনে থাকবেন। সেখানেই তার চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান জানান, আক্রান্তের বাড়ি এবং পুলিশের অস্থায়ী ব্যারাকটি লকডাউন করা হবে।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জে একদিনে সর্বাধিক রেকর্ড সংখ্যক ৬৮জনের করোনা শনাক্ত। এনিয়ে এখন করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০২০জনে। আইসোলোশনে আছে ৪৯২জন এবং সুস্থ হয়েছে ৪০১ জন । এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ২৪জন। নতুন আক্রান্ত ৬৮জনের মধ্যে কলাতিয়া ইউনিয়নে ৪জন, জিনজিরা ইউনিয়নে ২১জন, শাক্তা ইউনিয়নে ৭ জন, তেঘরিয়া ইউনিয়নে ৪জন, আগানগর ইউনিয়নে ৭জন,শুভাঢ্যা ইউনিয়নে ১০জন, রোহিতপুর ইউনিয়নে ২জন, কালিন্দী ইউনিয়নে ৮জন, কোন্ডা ইউনিয়নে ১জন, পল্লি বিদ্যুঃ অফিসে ১জন, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ১জন, কেরানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী ৩জন। কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর মোবারক হোসাইন এতথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত সোমবার রাতে এ তথ্য তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন। জানা গেছে, ২৪ জুন আনোয়ারার ইউএনওসহ ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়। গতকাল সেগুলোর ফলাফল পাওয়া যায়। আনোয়ারা থানার উপ সহকারি পুলিশ পরির্দশক এমরান হোসেন খন্দকার জানান, গত ২৪ জুনের রিপোর্টে ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলার দুই জন, কাফকোর তিনজন ও হাইলধর ইউনিয়নে একজনসহ ৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া গত ৭ ও ৮ জুনের ৬৪ জনের মধ্যে ১৬ জনের রিপোর্টও আসছে তাদের মধ্যে আরো ৮ জন পজিটিভ।
বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সিলেটের ওসমানীনগরে এবার আওয়ামী লীগ নেতাসহ আরো দুই জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালের পিসিআর ল্যাব থেকে এই দুইজনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। আক্রান্ত এই দুই জন নিয়ে ওসমানীনগরে মোট ৪০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। আক্রান্তরা হলেন, ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি উপজেলার উসমানপুর ইউপির তাহিরপুর গ্রামের সায়্যিদ আহমদ বহলুল(৫৯) ও উপজেলার সাদিপুর ইউপির ন‚রপুর গ্রামের ন‚রপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সৈয়দ হাবিবুল হক (৩৩)।
গফরগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গফরগাঁও উপজেলা সদরে একজনের করোনা আক্রান্ত হয়েছে। সোমবার রাতে উক্ত করোনা রোগীকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েই চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন