শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধই থাকছে শেনজেন ভিসা

চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ভারত চীন যুক্তরাষ্ট্র

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২০, ১২:০৫ এএম

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া সীমান্ত আজ থেকে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ থেকে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপানসহ আপাতত নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত ১৪টি দেশের নাগরিক ইউরোপ ভ্রমণে যেতে পারবে। এর আগে প্রথম তালিকায় ৫৪ দেশের কথা বলা হলেও পরে চূড়ান্ত তালিকায় ১৪ দেশ রাখা হয়। তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। আর বাংলাদেশের নাম তালিকায় শুরু থেকেই ছিল না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৬টি দেশ নিয়ে তৈরি ব্লককে শেনজেন কান্ট্রিস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আজ থেকে এসব দেশের সীমান্ত খুলে দেয়া হচ্ছে। এ সময়ে এসব দেশে প্রবেশের ভিসা বৈধ হবে ১৪টি দেশের জন্য। এ তালিকায় নেই বাংলাদেশ।

বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বিদেশি গণমাধ্যম বলছে, ইইউ এই তালিকায় চীনকে অন্তর্ভূক্ত করবে, যদি চীনের সরকারও একইভাবে ইউরোপীয় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়। ইউরোপের নাগরিকদের জন্য ইইউয়ের সীমান্ত কড়াকড়ি তুলে নেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ পর্যটকদের জন্য ব্রেক্সিট চুক্তির আলোচনার অধীনে নতুন নিয়মে করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ব্রেক্সিট হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হবার আগ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারা ইউরোপের নাগরিকের সমান মর্যাদাই পাবেন। যে কারণে সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না ব্রিটিশ নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। নিরাপদ দেশের নতুন যে তালিকা করা হয়েছে সেটিতে পরে আরো পরিবর্তন আসতে পারে বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ তালিকায় আছে আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মন্টেনিগ্রো, মরক্কো, নিউজিল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া এবং উরুগুয়ে। যুক্তরাজ্য এখন কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে এয়ার ব্রিজ পদ্ধতি আয়োজনের চেষ্টা করছে, এর মানে হচ্ছে ব্রিটিশ নাগরিকেরা ইউরোপের কোন দেশে গেলে যাতে তাকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে না হয়। আসন্ন গ্রীষ্মের ছুটি লক্ষ্য করে এই ব্যবস্থা করতে চাইছে যুক্তরাজ্য, এর কারণ হচ্ছে ইউরোপের পর্যটন খাতের জন্য এই মৌসুমটি ব্যস্ততম, এ সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ এ খাতে বিভিন্ন রকম কাজ করে। ইইউয়ের এই নিরাপদ রাষ্ট্রের তালিকা এবং এর যোগ্যতা সম্পর্কে এরই মধ্যে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা। ইইউভুক্ত রাষ্ট্রের বেশিরভাগ অর্থাৎ অন্তত ৫৫ শতাংশ দেশ যাদের জনসংখ্যা ইউরোপের ৬৫ শতাংশের মত, তারা এই তালিকা অনুমোদন করেছে।

কিন্তু এর মধ্যে স্পেনের মত দেশ যারা নিজেদের পর্যটন শিল্প আগের মত অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু আবার কোভিড-১৯ এ ভয়াবহতার অন্যতম শিকার হবার কারণে তারা পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় এমন দেশও রয়েছে, যারা এখনো দ্বিধান্বিত। গ্রীস এবং পর্তুগালের মত দেশও রয়েছে এই তালিকায়, যারা মূলত পর্যটনের আয়ে চলে, কিন্তু ভাইরাসের ভয়ে ভীত নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
তানিয়া ১ জুলাই, ২০২০, ২:১৪ এএম says : 0
এজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা উচিত
Total Reply(0)
আমজাদ ১ জুলাই, ২০২০, ২:২০ এএম says : 0
এটা হওয়ারই ছিলো
Total Reply(0)
তানবীর আলম ১ জুলাই, ২০২০, ২:২১ এএম says : 0
কিছু বলার নেই
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন