মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পাপুলকান্ডে কুয়েতের স্বরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বরখাস্ত

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২০, ১২:০৫ এএম

বাংলাদেশের এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন এবং ঘুষ গ্রহণের দায়ে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ এক আদেশ জারি করে তাকে বরখাস্ত করেন। কুয়েতে আদম ব্যবসায় অনিয়ম এবং হাজার কোটি টাকার কারবারে জড়িত সন্দেহে গত ৬ জুন এমপি পাপুল দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অর্থ ও মানবপাচার এবং ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে কুয়েতে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়।

ওই ঘটনায় মোট তিনজন জড়িত ছিল বলে তখন খবর পাওয়া যায়। সেই সময় বাকি দুজন পালিয়ে যান; যাদের একজন শহীদ ইসলাম পাপুল। রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সর্বশেষ গত ২৪ জুন তাকে ২১ দিনের জন্য কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়েতে গত ৬ জুন রাতে আটকের পর পাপুলের দফতরের সিসিটিভি ও অন্যান্য কাগজপত্র এবং চেকবই থেকে অনৈতিক লেনদেনের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এছাড়া তার মুঠোফোনে কুয়েতের সংসদ সদস্যসহ স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ এবং অন্যান্য কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাপুলের যোগাযোগের তথ্য পাওয়া যায়। কুয়েতি এই কর্মকর্তারা অনৈতিক সব কাজে পাপুলকে সহযোগিতা করেছেন।

আরবি ভাষার দৈনিক আল কাবাসের খবরে বলা হয়, কুয়েতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি এই এমপির সঙ্গে কাজের জন্য অন্তত দুটি চুক্তি নবায়ন করেছিল। তদন্তে অনৈতিক কর্মকান্ডের সংশ্লিষ্টতা মেলায় একটি চুক্তি বাতিল করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহ এমপি শহীদ ইসলামের জন্য ২৩ হাজারের বেশি কর্মীর এন্ট্রি ভিসার অনুমোদনে সহায়তা করেছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তারা জানতে পান।

এদিকে গত দুই মাসে কুয়েতের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পাপুলের প্রতিষ্ঠান মারাফি কুয়েতিয়ার অন্তত চারটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এ নবায়নের বিষয়টি নজিরবিহীন। ধারণা করা হচ্ছে, ঘুষ ও উপহার দিয়ে তিনি ওই চুক্তিগুলো নবায়ন করেন।

গালফ নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবপাচার, অর্থপাচার ও শ্রমিক নিপীড়নের অভিযোগে সংসদ সদস্য পাপুল এখন কুয়েতের কারাগারে আছেন। তাকে ঘিরে তদন্তের পরিধি ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। করোনা মহামারির মধ্যে যে চারটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে তার আর্থিক মূল্য সাড়ে ৩২ লাখ মার্কিন ডলার। এগুলোর বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Shohidul Alam ১ জুলাই, ২০২০, ১:১৬ এএম says : 0
Amra sudu nijai churi kori na teaching o dai we are churir expatriates!
Total Reply(0)
Hassan Nazmul ১ জুলাই, ২০২০, ১:১৬ এএম says : 0
কাম সারছে! আমাদের দেশেত তদন্তই শেষ হইত না,প্রমাণ আর পরে। আর প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হত বদলি!
Total Reply(0)
Abdul Kuddus Tutul ১ জুলাই, ২০২০, ১:১৭ এএম says : 0
আমাদের দেশে যত অন্যায়ই করুক না কেন শুধু বদলি (স্থানান্তর) করা হয়।
Total Reply(0)
Masum Rahman ১ জুলাই, ২০২০, ১:১৭ এএম says : 0
বাংলাদেশে যারা সংশ্লিষ্ট ছিল তাদের কি অবস্থা?
Total Reply(0)
Mir Irfan Hossain ১ জুলাই, ২০২০, ১:১৮ এএম says : 0
জনগণ চাইলেও পাপলুর বিচার বাংলাদেশের মাটিতে সম্ভব নয় !
Total Reply(0)
Masud Alam ১ জুলাই, ২০২০, ১:১৮ এএম says : 0
সুন্দর উদ্যোগ আহারে বাংলাদেশে যদি এইরকম দেখতে পেতাম
Total Reply(0)
Sharafat Ullah ১ জুলাই, ২০২০, ১:১৯ এএম says : 0
উনি এখনও বাংলাদেশে সব পদে বহাল আছেন !
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন