দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ অব্যাহত আছে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান গতকাল মঙ্গলবার এক যুক্ত বিবৃতিতে অবিলম্বে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
তারা বলেন, ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত। একদলীয় শাসনকে চিরস্থায়ী করার অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নীল-নকশার অংশ হিসেবে দেশের সংবিধানস্বীকৃত স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করতেই দেশের জনপ্রিয় এবং বহুল প্রচারিত দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তারা বলেন, এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। সরকারের দুর্নীতি, অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া প্রতিটি কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যমের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্যই একের পর এক কালো আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা করে সরকার আবারও প্রমাণ করলো তারা গণতন্ত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। বিএনপি নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। একই সাথে তারা কালো আইন বাতিল করারও দাবি জানান।
হজযাত্রী কল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে কালো আইনে মামলা দায়েরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ এবং মন্তব্য প্রকাশ করায় পাঠকপ্রিয় দৈনিক ইনকিলাবের কণ্ঠরোধ করতেই এই সাজানো মামলা হয়েছে। এ ধরনের মামলা সরকারের দুর্নীতি বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতির পরিপন্থি। এতে সরকারের ভাব-মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং এই কালো আইন বাতিলের দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন