ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, হলি আর্টিসান হামলার পর আমরা একের পর এক জঙ্গি আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছি। জঙ্গিদের সক্ষমতা যে পর্যায়ে ছিল সেটি এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে। ইমপ্রভাইড্ বোমা বানানোর মত এক্সপার্ট এখন আর নাই। তারা কেউ জেলে আছে অথবা বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে। তাদের ছোটখাটো সক্ষমতা থাকতে পারে কিন্তু বড় ধরণের কোন ঘটনা ঘটানোর সক্ষমতা নেই।
বুধবার (১ জুলাই) সকাল ১০ টায় গুলশান-২ এর হলি আর্টিসান বেকারিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একথা বলেন তিনি।
হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা ছিল উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, হলি আর্টিসানে হামলার আজ তার ৪ বছর পুর্তি হলো। আমরা এই জঙ্গি হামলায় নিহত আমাদের দুইজন সহকর্মী ও দেশী-বিদেশী নিহত নাগরিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। যারা সরাসরি এই ঘটনায় জড়িত ছিল তারা সেনাবাহিনীর অভিযানে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এই পুরা ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিল পরবর্তী সময়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করি এবং সবারই সাজা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন আদালতে আপিল করেছে। তবে এখন আপিলের শুনানি শুরু হয়নি।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, হলি আর্টিসানের ঘটনার পরে বাংলাদেশ পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে। একই ভাবে যারা জঙ্গিবাদে জড়িত তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের একটি পরিষ্কার ধারণা তৈরি হয়েছিল।
নগরবাসীকে আশ্বস্ত করে কমিশনার বলেন, করোনাকালে স্বাভাবিকভাবে মানুষ বাসায় বেশি থাকে। তারা অনেকেই ধর্মীয় সাইটগুলোতে বেশি ভিজিট করছে। এই সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরা ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা তাদের প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি। কাউকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছে বা জঙ্গিবাদের কার্যক্রমকে পরিচালনার জন্য যে ধরণের সাংগঠনিক ব্যবস্থা প্রয়োজন সেধরণের কোন সংগঠন আবার গড়ে তুলতে পেড়েছে সেরকম কোন তথ্য আমাদের কাছে নাই।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ জন বিদেশিসহ নিহত হন মোট ২২ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় আহত হন পুলিশের অনেকে। পরদিন ২ জুলাই সকালে সেনা কমান্ডোদের উদ্ধার অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন