মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২০, ১২:০৫ এএম

মধ্যবিত্ত পরিবারে নীরব হাহাকার

মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের অভিধানের অন্যতম শব্দ ‘হিসাব’ করে বেঁচে থাকা। জীবন কিংবা জীবিকা তাদের চলার পথে নিত্য সঙ্গী অংক কষে তার একটি চিত্র দাঁড় করানো। হোক সেটা পরিবারের খাবার, হোক সেটা সন্তানের পড়াশোনা কিংবা হোক সেটা সল্প বিলাসিতা। প্রতিটি ধাপে তাদের জীবনকে ঘুছিয়ে রাখে ব্রেইনের ক্যালকুলেটরের ‘হিসাব’। অন্যভাবে বলা যায়, জীবনভর জাঁতাকলে পিষ্ট মানুষদেরই বলে মধ্যবিত্ত। যার সীমা অতিক্রম করবার কোনো সুযোগ নেই, সীমাবদ্ধ থেকেও তাকে বেঁচে থাকবার আশা যোগাতে হয়। আজ করোনা মহামারী তাদের সেই হিসাবি জীবনটাকেও অজানা গন্তব্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। হিসাবি মানুষগুলোর জীবনে মানিয়ে নেওয়া সেই জায়গাগুলোও হারাতে বসেছে। আজ কেউ চাকরিচ্যুত হয়ে হেরে যাচ্ছে তাদের জীবন যুদ্ধে, আবার কেউ দ্রব্যমূল্য, বাসা ভাড়া, সন্তানের পড়াশোনা সবকিছু সামলে নিতে না পেরে হেরে যাচ্ছে নিরবতায়। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি না পারে কোথাও প্রকাশ করতে, না পারে লোকচক্ষুর লজ্জাবোধ কাটিয়ে কারো সাহায্য নিতে। সামাজিক মর্যাদা এবং ব্যক্তিগত সম্মানটাও তাদের আটকে দেয়। মধ্যবিত্ত নামটিই তাদের কাছে কষ্টের অপ্রকাশিত এক গল্প, যেই গল্পে টিকে থাকার চেষ্টা করে যাওয়া মানুদেরও বাস্তবতার কাছে হেরে যেতে হয়। অনেকে দীর্ঘ জীবনের বসবাসের শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরছে কিছুটা কষ্ট লাঘব হবে এই আশায়। পরিস্থিতি আজ তাদের দাঁড় করিয়েছে কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন।
কাব্য সাহা
শিক্ষার্থী, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।


ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মিছিলে শামিল বাংলাদেশও। ব্যক্তিগত যোগাযোগ, পড়ালেখা, ব্যবসাবাণিজ্য, দাপ্তরিক সভা, অনলাইনভিত্তিক চিকিৎসা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির অনুশীলন ও বিনিময়, সামাজিক কাজ, যে কোনো অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেই প্রায় ১০ কোটি গ্রাহক তাদের মোবাইল ফোনে দেশের সরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকসহ অন্যান্য কোম্পানির সিমের সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। গ্রাহকদের বয়স, প্রয়োজন ও পছন্দের ভিত্তিতে কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে ডাটা ও বান্ডেল প্যাকেজ চালু করে। কিন্তু প্যাকেজগুলোর ডাটা ও মিনিট ব্যবহারের ৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১ মাস মেয়াদ নির্দিষ্ট থাকে। মেয়াদের পর সংশ্লিষ্ট কোম্পানি গ্রাহকের অব্যবহৃত ডাটা তার হিসাব হতে সরিয়ে ফেলে। অনেক ক্ষেত্রে একই প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত ডাটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে থ্রি-জি ও ফোর-জি’র শর্তে ভাগ করা থাকে। ফলে, গ্রাহক মোবাইল ফোন সেট অথবা সংশ্লিষ্ট এলাকার নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে ক্রীত প্যাকেজের সদ্ব্যবহারের সুযোগ পান না। এছাড়া, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সরকার কর্তৃক মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবার উপর বর্ধিত সম্পূরক শুল্কের খড়গ নেমে এসেছে। তাই, সকল দিক বিবেচনাপূর্বক, সাধারণ গ্রাহকদের প্রাপ্য স্বার্থ সুরক্ষার খাতিরে থ্রি-জি ও ফোর-জি’র জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজ চালুর পাশাপাশি প্যাকেজের নির্দিষ্ট মেয়াদের শর্তগুলো তুলে নেওয়া হোক। এ ব্যাপারে বিটিআরসি এবং সংশ্লিষ্ট সকল মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানির ইতিবাচক পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
আবু ফারুক
সদর, বান্দরবান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন