পটুয়াখালীর বাউফলে খাদ্যগুদামের সিলযুক্ত চাল নূরজাহান সিলযুক্ত বস্তায় ভর্তি করে বাজার জাত করার অপরাধে আব্দুর রহিম নামের এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রট ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জাকির হোসেন। আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে কালাইয়া বন্দরের ধানহাট এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই পটুয়াখালীর একটি টীম ।
জানা গেছে, উপজেলার কালাইয়া বন্দরের ক্ষুদ্র এক চাল ব্যবসায়ি আব্দুর রহিম গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-নন সোলার খাত) কর্মসূচীর আওতায় চারটি প্রকল্পের মোট ১১.৫ মেঃটঃ চাল ক্রয় করেন। সরকারি চাল ক্রয় করে বাজারজাত করছেন এমন গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে পটুয়াখালী জেলার এনএসআই এর একটি টীম আজ বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার কালাইয়া বন্দরের আব্দুর রহিমের ওই গোডাউনে অভিযান চালায়। এসময় গোডাউনে খাদ্য অধিদপ্তরের সীলযুক্ত ১৬০ বস্তা চাল ছিল। চাল ক্রেতার পক্ষে চারটি প্রকল্পের কাগজপত্র দেখালে এনএসআই টীম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজিব বিশ্বাস এবং উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে প্রকল্পের অনুকুলে বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলণের জন্য প্রদেয় ছাড়পত্র সঠিক এবং কাবিখার চাল বাজারে বিক্রি করে শ্রমিকদের চাউলের পরিবর্তে টাকা দেয়ার বিধান রয়েছে বলে জানান। তবে কাবিখার চাল নূরজাহান কোম্পানীর প্লোষ্টিকের বস্তায় ভরে বিক্রি করা প্রতারণার সামিল বলে মন্তব্য করেন। পরে বিষয়টি এনএসআই টীম বাউফল থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ভোক্তা অধিকারের পরিপন্থি কাজ করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে চাল ছেড়ে দেন তিনি ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন