রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে খুলনায় শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচি গত মঙ্গলবার রাতে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর রাতেই শ্রমিকরা স্ব স্ব মিলে কাজে যোগদান করেন। এর মধ্য দিয়ে মিলগুলোতে উৎপাদন শুরু হয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক সরদার আব্দুল হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে প্রতিটি পাটকলে শ্রমিকরা অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শুরু করেন, যা গতকাল বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত চলার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বিকালে একটি গোয়েন্দা সংস্থার ঢাকার কর্মকর্তারা খুলনায় আসেন এবং পাটকল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে তারা কর্মসূচি স্থগিতের আহবান জানান।
এর আগে গত সোমবার ঢাকায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি শ্রমিকদের কর্মসূচি স্থগিত করার আহবান জানান। কিন্তু শ্রমিকরা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নেন। এমন অবস্থায় মিল বন্ধের বিষয়ে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারিভাবে নতুন কোনও ঘোষণা না আসায় রাত পৌণে ৮টা থেকে কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
সরকারিভাবে মিল বন্ধের বিষয়ে আগামীতে কোনও ঘোষণা আসলে শ্রমিকরা রাজপথের আন্দোলনে প্রয়োজনে আত্মাহুতির কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে প্রাণের প্রতিষ্ঠান পাটকল রক্ষা করবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
প্লাটিনাম জুট মিলের স্থায়ী শ্রমিক তোফাজ্জেল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, যে দেশে সরকার লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে ফ্রিতে লালন পালন করেন। বসিয়ে বসিয়ে খাওয়া-দাওয়া দিতে পারেন, সে দেশের কয়েক হাজার শ্রমিক বাঁচানোর পরিবর্তে পাটকল বন্ধ করবে এটা হতে পারে না। বালিশ কেলেঙ্কারিতে কোটি টাকার দুর্নীতি হয়, চিকিৎসকদের খাবার বিল হয় কোটি কোটি টাকা। সে দিকে আমলাদের কোনও খেয়াল নেই। আমলাদের দৃষ্টি পড়েছে অসহায় খেটে খাওয়া সাধারণ পাটকল শ্রমিকদের ওপর। এটা হতে পারে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন