ময়মনসিংহের পিসিআর ল্যাবে বুধবার নমুনা পরিক্ষার পর তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস, তারাকান্দা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. বিধান চন্দ্র সরকার ও ইউএনও'র গাড়ী চালক মোঃ কামাল হোসেন করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে।
তাদেরকে বিশেষ ব্যবস্থায় নিজ বাসা-বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে তাদের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তাদের বাসা-বাড়ি ও আশপাশ এলাকাটিকে বিশেষভাবে বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে।
তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস করোনা ঠেকাতে, প্রান্তিক মানুষের সেবা নিশ্চিতকরণে ত্রাণ বিতরণ, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ করোনা মোকাবেলায় সম্মুখভাগের যোদ্ধা হয়ে মাঠ প্রশাসনে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সতর্ক থাকলেও সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হয়নি তার। ১ জুলাই ইউএনও’র করোনা পজিটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত । এরপর থেকেই তিনি হোম আইসোলেশনে আছেন।
তারাকান্দা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. বিধান চন্দ্র সরকারও করোনা পরিক্ষার নমুনা সংগ্রহ, রোগীদের আইসোলেশন নিশ্চিতকরণ সহ করোনা মোকাবেলায় সম্মুখভাগের যোদ্ধা হয়ে মাঠে কাজ করেছেন। দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সতর্ক থাকলেও সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হয়নি তারও।
ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিটি ইউনিয়নে কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করার সময় উক্ত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে অবস্থিত পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। বুধবার (১ জুলাই) নমুনা পরীক্ষার পর উক্ত ব্যক্তিদের করোনা ভাইরাস পজেটিভ পায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে অবস্থিত করোনা শনাক্ত করণের পিসিআর ল্যাব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন