শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে চলতি মাসেই সরকারি বাংলো ছাড়ার নির্দেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৭ এএম

তীব্র বিজেপি বিরোধিতার ফল এবার হাতেনাতেই পেল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। একের পর এক ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের বিরোধিতা করেই যাচ্ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে রীতিমতো রণহুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, ‘আমি ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি’। সেই বিরোধিতার মাশুলই কি এবার চোকাতে হবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে? ১ আগস্টের মধ্যে তাঁকে দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এই নোটিশ জারির পর থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও কেন্দ্রের সাফাই, নিয়ম মেনেই তাঁকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করতে হবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আগামী ১ অগাস্টের মধ্যে তাঁকে বাংলো ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। নইলে তাঁকে জরিমানা দিতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, এতদিন লোধি রোডে সরকারি বাংলোয় থাকতেন তিনি। নগর এবং আবাসন মন্ত্রকের ওই নোটিসে বলা হয়, লোধি এস্টেটের ৩৫ নম্বর বাংলোটি এসপিজি নিরাপত্তা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ। প্রিয়াঙ্কা এখন এসপিজি নিরাপত্তা পান না। বরং তিনি জেডপ্লাস নিরাপত্তার আওতায়। তাই নিয়ম মেনে তাঁকে বাংলোও ছাড়তে হবে।
প্রিয়ঙ্কা গান্ধী সাংসদ নন, দলের সভাপতিও নন, কোনও সরকারি উঁচু পদও তাঁর নেই। তা সত্ত্বেও গত ২৩ বছর ধরে ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি যে দিল্লিতে সরকারি বাংলোতে আছেন, সেটা সুরক্ষার কারণে। রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর পরিবারের সবাইকে এসপিজি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। তাই বিয়ের পর প্রিয়ঙ্কাও এসপিজি নিরাপত্তার কারণেই সরকারি বাংলো পেয়েছেন। তিনি সৈনিক ফার্মে স্বামী রবার্টের বাড়িতে যেতে চাইলেও এসপিজি তা মানেনি। এসপিজি সুরক্ষা সরে যাওয়ার পর তিনি আর সরকারি বাড়ি পাওয়ার অধিকারী নন। তাই এই নোটিশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন