শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ছয় জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ছয় জেলায় বৃষ্টির সময়ে বজ্রপাতে দুই শিশুসহ ১০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ৪, শেরপুরে ২, গাইবান্ধা ১, লক্ষ্মীপুরে ১, চাঁদপুরে ১ ও নোয়ালীতে ১ জনের মৃত্যু। গতকাল শুক্রবার পৃথক সময়ে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে।
রংপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলার পীরগাছা ও কাউনিয়ায় বজ্রপাতে দুই শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার কল্যাণি ও কুর্শা ইউনিয়নে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
পীরগাছা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, দুপুরে কল্যাণি ইউনিয়নের বিহারি গ্রামের বাদল চন্দ্র বর্মণের ছেলে বিজয় চন্দ্র্র বর্মণ (৮) ও তার চাচাত ভাই দীলিপ চন্দ্র বর্মণের ছেলে পরিতোষ চন্দ্র বর্মণ (১২) বজ্রপাতে আহত হয়। তাদের মাহিগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিতোষ বিহারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শ্রেণি ও বিজয় একই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। কাউনিয়া থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী জানান, কাউনিয়ার কুর্শা ইউনিয়নের গোপাল গ্রামে কৃষক মনিরুজ্জামান মিয়া (৬০) ও একই এলাকার সবুর মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৬) বজ্রপাতে আহত হন। তাদের কাউনিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুরে বজ্রপাতে নিহত ২ : মহিলার মৃত্যু
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা : বজ্রপাতের ঘটনায় শেরপুরের কৃঞ্চপুর দড়িপাড়ায় ও নালিতাবাড়ীর কালিনগরে ২ কৃষকের মৃত্যু ও আরো দুইজন আহত হয়েছে।
গতকাল দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার কৃঞ্চপুর দড়িপাড়ায় সবজী ক্ষেত নেড়ানোর জন্য গেলে সেখানেই বজ্রপাতে জোসনা মিয়া (৬০) নামের এক কৃষক মারা যায় ও আহত হয় কৃষক আহালু ও স্কুলছাত্র চান মিয়া। একই সময় জেলার নালিতাবাড়ীর কালিনগরে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মিয়া হোসেন (৩৮) নামের অপর এক কৃষকের মৃত্যু হয়। এদিকে শেরপুর জেলা শহরের গৃর্দা নারায়নপুরে নিজ বাসার ছাদে কাপড় নাড়তে গেলে আমির হামজার স্ত্রী গৃহবধূ আছিয়া বেগম ছাদ থেকে পা পিছলে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের নুনদহ সমসপাড়া গ্রামে বজ্রপাতে শরিফুল ইসলাম (৩০) নামে এক কৃষক বজ্রপাতে মারা গেছেন। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে শরিফুল জমিতে কাজ করছিল। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
লক্ষ্মীপুর : সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চরম-ল এলাকায় বজ্রপাতে সজিব হোসেন নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ইছমাইল হোসেন নামে একজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, সকালে ইছমাইল হোসেন ও তার ভাগিনা সজিব হোসেন জমিতে কাজ করছিল। এ সময় বজ্রপাতে তারা দুইজন আহত হন। তাদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আনার পথে সজিব হোসেন মারা যান।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, আহত ইছমাইলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মতলব উত্তরে বজ্রপাতে গৃহিণী নিহত
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুরের মতলব উত্তরে নাছিমা বেগম (৪০) নামে এক গৃহিণী বজ্রপাতে নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার দক্ষিণ রামপুর বেড়িবাঁধ এলাকায়। নিহত নাছিমা বেগম ঐ এলাকার বাবুল পালের স্ত্রী। জানা গেছে, নাছিমা বেগম স্বামী ও ৪ ছেলেকে নিয়ে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধে দীর্ঘদিন ধরে ঘর তুলে বসবাস করে আসছিল। শুক্রবার সকালে সে রান্না ঘর থেকে বসতঘরে যাওয়ার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তার শরীর ঝলসে যায়। বাড়ির লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় আমিরাবাদ বাজারে পল্লী চিকৎসকের কাছে নিয়ে যায়। কিন্তু ডাক্তারের কাছে নেয়ার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়।
সুবর্ণচরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে বজ্রপাতে মো: ইস্রাফিল প্রকাশ দুদা মিয়া (৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চর আক্রাম উদ্দিন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইস্রাফিল প্রকাশ দুদা মিয়া ওই গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রমতে, কয়েকদিন ধরে নিজের জমিতে ধানের চারা রোপণ করছিলেন দুদা মিয়া। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকাল থেকে নিজের জমিতে চারা রোপণের কাজ করছিলেন তিনি। দুপুরে হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হলে এসময় নিজ জমিতে বজ্রপাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় দুদা মিয়া। পরে স্থানীয় লোকজন তার লাশ খেত থেকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন