শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আকাশের গন্ধ কেমন?

নিউজহাব | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২০, ১২:০৩ এএম

সুকুমার রায়ের কল্পনায় আকাশের ঘ্রাণ আর স্বাদ পেয়েছিল বাঙালি। বইয়ের পাতা থেকে এবার বাস্তবের মাটিতে তা উপভোগের পালা। চমকে গেলেন? কিন্তু এটাই সত্যি হতে চলেছে।
আকাশের গন্ধ সত্যিই ‘টকটক’ কি না, তা বোঝা যাবে। এক আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে বহির্বিশ্বের গন্ধের সঙ্গে আমাদের পরিচিতি ঘটাতে চলেছে নাসা। তৈরি হচ্ছে সুগন্ধী।
মহাশূন্যে কী-ই বা স্পর্শ, কী-ই বা ঘ্রাণ! সে তো কেবল গল্প, কবিতায়। পৃথিবীর বাইরের মহাশূন্যের রূপ তো আমরা দেখেছি। এবার ঘ্রাণও পাওয়া যাবে। সুগন্ধী বানানোর জন্য নাসা কাজ করছে ‘ওমেগা ইনগ্রেডিয়েন্টস’ নামে এক সংস্থার সঙ্গে।
‘ইউ ডি স্পেস’ তৈরিতে মহাকাশচারীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারছেন, মহাশূন্যে পাড়ি দেওয়ার পর ঠিক কেমন গন্ধ পেয়েছিলেন।
স্টিভ পিয়ার্স, রসায়নবিদ এবং ‘ওমেগা ইনগ্রেডিয়েন্স’এর প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশের গন্ধ নিয়ে একটি সুগন্ধী তৈরির চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছিলেন না। এক যুগ আগে নাসার তরফে সুগন্ধী তৈরির জন্য এই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারপর নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে।
এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সকলের উৎসাহ তুঙ্গে। কেমন সেই গন্ধ? কবে হাতে আসবে ‘ইউ ডি স্পেস’? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যা জানা যাচ্ছে, তা বোধহয় আগ্রহের আঁচে কিছুটা পানিই ঢেলে দিল। নামেই সুগন্ধী!
মহাকাশচারীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে জানাচ্ছেন, টকটক নয়, সে গন্ধ নাকি গোলাবারুদের ধোঁয়া ধোঁয়া। বিখ্যাত নভোচারী পেগি হুইটসনের কথায়, ‘ধোঁয়াটে আর পোড়া-পোড়া, তিতকুটে গন্ধ।’ তাদের এই অভিজ্ঞতাই ‘ইউ ডি স্পেস’ তৈরির মূল উপকরণ। সুগন্ধী সম্ভবত নাসারই কুক্ষিগত হয়ে থাকবে। বাজারে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন