শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনা উপসর্গে মৃত্যু ১৪

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা উপসর্গ সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সারা দেশে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫, রাজশাহী, বরগুনা ও গোপালগঞ্জে ২ জন করে, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, ঝিনাইদহে ১ জন করে। তবে এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

যশোর ব্যুরো জানায়, যশোরে একদিনেই ৬০জন করোনা শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭শ; ছাড়ালো। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭০২জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯২ জন আর মারা গেছেন ১৩ জন।
এদিকে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও জেনোম সেণ্টারে পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার জানান, বৃহস্পতিবার তাদের পরীক্ষাগারে মোট ২৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৬ টির পজেটিভ রেজাল্ট পাওয়া গেছে। নেগেটিভ এসেছে ২০৯টির। যবিপ্রবি সূত্র জানায়, যশোরের ২৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬২টি পজেটিভ হয়। আর মাগুরার ৩৪টি নমুনার মধ্যে চারটি পজেটিভ পাওয়া গেছে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও ঝালকাঠিতে আক্রন্তের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণাঞ্চলে করেনা সংক্রমন প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে মোট সংখ্যাটা ৩ হাজার অতিক্রম করল। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুনকরে আরো ৯৫ জনের করোনা সংক্রমনের কথা জানা গেছে। যা আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল ৬৯। এসময়ে পটুয়াখালী ও বরগুনাতে মৃত্যু হয়েছে আরো দুজনের। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্ত ৩ হাজার আট-এর বিপরীতে মৃত্যুর সংখ্যাটা ৬৫’তে উন্নীত হল। তবে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে গতকাল দুপরের গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় আরো ৮৬ জনসহ মোট ৯৮১ জন কোভিড-১৯ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে জানান হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল জেলাতেই আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭-এ উন্নীত হয়েছে। যা গত ২৪ ঘণ্টায় ছিল মাত্র ১৬। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মহানগরীতেই সংখ্যাটা প্রায় ৩৭ বলে জানা গেছে। তবে গতকাল বরিশালে কোন মৃত্যু না থাকলেও শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বরগুনার আমতলী এলাকার এক পুলিশ সাব-ইসেপেক্টর করোনায় মারা গেছেন। বরিশালে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে দেড় হাজার অতিক্রম করে আরো ৭৭ যোগ হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা এপর্যন্ত ২৪।
অপরদিকে দক্ষিণাঞ্চলে করোনার অন্যতম হটস্পট ঝালকাঠিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। যা আগের দিন ছিল ১২। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ২৩১। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। বরগুনাতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের দুই থেকে গতকাল ৬ জনে উন্নীত হয়েছে। তবে পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৩০ থেকে বৃহস্পতিবার ১০-এ হ্রাস পেলেও মারা গেছেন আরো একজন। তবে মৃত্যুর সংখ্যাটা আগের দিন ছিল দুই। জেলাটিতে মোট আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩১ ও ২১। পিরোজপুরেও আক্রান্তের সংখ্যা বৃহস্পতিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘণ্টায় শূন্যের কোঠায় ছিল। যা আগের দিন ছিল ৮। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ও মৃত্যু যথাক্রমে ২১৪ ও ৫।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপরের গত ২৪ ঘণ্টায় নুতন করে যে ৮৬জন করোনা মূক্ত হয়েছেন, তার মধ্যে বরিশালে ৪৩ জন সহ মোট ৩৭৯, পটুয়াখালীতে ৫ জনসহ ৮৮ জন, ভোলাতে ১৮ জনসহ ১২৭ জন, পিারোজপুরে নতুন ৫ জনসহ মোট ১৩৫ জন। বরগুনাতে ৭ জনসহ মোট ১৪৫ জন এবং ঝালকাঠিতে নতুন ৫ জনসহ মোট ১০৭ জন রয়েছে।
এদিকে বরিশাল শের বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আরো ১০জনকে ভর্তি করা হলেও মারা গেছেন একজন। এনিয়ে ওয়ার্ডটিতে মোট ভর্তিকৃত ৪৩২ জনের মধ্যে ৬৪ জনের মৃত্যু হল। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৮২ জন। অপরদিকে করেনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কাউকে ভর্তি কিংবা ছাড়পত্রও প্রদান করা না হলেও গতকাল সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিল ৬৬ জন। তবে ওয়ার্ডটিতে এপর্যন্ত ভর্তিকৃত ২৭১ জনের মধ্যে ১৭৫ জনকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। এ পর্যন্ত শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ভর্তিকৃত ৭০৩ জনের মধ্যে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা করেনা সংক্রমনে জাতীয় মৃত্যু হারের চেয়ে বেশী।
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানায়, ভোলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ভোলায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩০২ জন । গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০২ জনে। এদের মধ্যে ১২৪ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সকালে ভোলার সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৮ জন, দৌলতখানে ২ জন, বোরহানউদ্দিনে ৩ জন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় ২ জন রয়েছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে রামপদ (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক (ডিডি) ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য জানান।
এদিকে, রাজশাহী বিভাগে আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১৯ জনের নমুনায় করোনা পাওয়া গেছে। এছাড়া সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ১৭২ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। আর মারা গেছেন ৫ জন।
এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮৯৮ জন। মারা গেছে ৮৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৬৭২ জন। গতকাল দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ১০৬ জন, নাটোরের ১২ জন, জয়পুরহাট ১৩, বগুড়ায় ৭৩ জন, সিরাজগঞ্জে ১৫ জন।
ডা. গোপেন্দ্র নাথ জানান, রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৮৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৩০৫২ জন আক্রান্ত। এছাড়াও রাজশাহীতে ৭৮৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০১ জন, নওগাঁয় ৪৫২ জন, নাটোরে ১৮৬ জন, জয়পুরহাটে ৩৮১ জন, সিরাজগঞ্জে ৪৯৪ জন ও পাবনায় ৪৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মৃতের সংখ্যা ৮৫ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে নয়জন, নওগাঁয় ছয়জন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় ৫৩ জন, সিরাজগঞ্জে আটজন ও পাবনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ১৭২ জন। এ নিয়ে বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ১৬৭২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে রাজশাহীর ১১৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬১ জন, নওগাঁয় ২৮৪ জন, নাটোরে ৬৪ জন, জয়পুরহাট ১৪৪ জন, বগুড়ায় ৮০২ জন, সিরাজগঞ্জ ৬৫ জন ও পাবনায় ১৩৮ জন।
ডা. বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়াও সামাজিক দুরত্ব রাখাসহ মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তবেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
এদিকে, রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে একদিনে ১০৫ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বর্হিবিভাগের ল্যাবে গত বুধবার তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদিন দুই ল্যাবে ৩৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বুধবার রাতে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস ও রামেকের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ও ল্যাব ইনচার্জ প্রফেসর ডা. সাবেরা গুলনাহার জানান, দুই ল্যাবে নতুন শনাক্তদের মধ্যে রাজশাহীর ৯০ জন ও নাটোরের ১৫ জন। রাজশাহীর ৯০ জনের মধ্যে নগরীর ৮৫ জন, চারঘাটের তিনজন ও দুর্গাপুরের দুইজন। নগরীর ৮৫ জনের মধ্যে চারজন চিকিৎসক ও ১০ জন পুলিশ এবং তিনজন কারারক্ষি রয়েছেন। নতুন ৯০ জন শনাক্ত নিয়ে রাজশাহী জেলায় আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ৭৬৯ জন। যার মধ্যে রাজশাহী নগরীতে ৫৩০ জন।
ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, রামেক হাসপাতালের বর্হিবিভাগের করোনা ল্যাবে ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। যার মধ্যে ৬২ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ এসেছে। তাদের সবাই রাজশাহী নগরীতে বসবাস করে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে রামেক হাসপাতালের চারজন চিকিৎসকও রয়েছে।
ডা. সাবেরা গুলনাহার জানান, রামেক ল্যাবে দুই শিফটে ১৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ জনের নমুনায় করোনা পজেটিভ এসেছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে রাজশাহীর ২৮ জন ও নাটোরের ১৫ জন। রাজশাহীর ২৮ জনের মধ্যে নগরীর ২৩ জন, চারঘাটের তিনজন ও দুর্গাপুরের দুইজন।
রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নগরীতে ৫৩০ জন। এছাড়াও বাঘায় ১৯ জন, চারঘাটে ২৮ জন, পুঠিয়ায় ১৪ জন, দুর্গাপুর ১২ জন, বাগমারায় ২৫ জন, মোহনপুরে ৩৫ জন, তানোরে ৩৭ জন, পবায় ৫১ জন ও গোদাগাড়ীতে ৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

রাবি : করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ইমেরিটাস অধ্যাপক ফকরুল ইসলাম (৮৬) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, 'দুপুর ১টার দিকে ফকরুল ইসলামকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। করোনা উপসর্গ থাকায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তির প্রক্রিয়া চলছিল। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’ ইমেরিটাস অধ্যাপক ফকরুল ইসলামের লাশ দাফনের জন্য কোয়াণ্টাম ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক ফকরুল ইসলাম ফলিত রসায়ন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী নগরীর কাজিহাটা এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, 'অধ্যাপক ফকরুল ইসলাম অ্যাকাডেমিক কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজেও বেশ দক্ষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।
কুমিল্লা : কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এরা মারা যান। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জেলার চান্দিনার ইউসুফ আলী (৪৯), আইসিইউতে মারা যান নগরীর ঠাকুরপাড়ার নাবিল (২৮), কুমিল্লার দেবিদ্বারের তালতলা গ্রামের হাজী জব্বার (৮০), সদর উপজেলার বলরামপুরের রিনা আক্তার (৫২) ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুদু মিয়া (৬৪)।
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় (১ জুলাই সকাল ৮টা হতে ২ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত)- এ জেলায় ৩৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মোট নমুনা সংগ্রহ হলো ২৫৫৬১জনের। নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ জন, মোট আক্রান্ত ৫২১৮ জন। মোট সুস্থ্য ৩৫৭৪ জন। নতুন করে কোন মৃত্যু নেই, মোট মৃত্যু ১১৪ জন।
নতুন তথ্যানুসারে এলাকা ভিত্তিক আক্রান্তের সংখ্যা হলো- আড়াইহাজার উপজেলায় ৪৯০, বন্দর উপজেলায় ১৮৭, সিটি করপোরেশন(এনসিসি) এলাকায় ১৮৩৩, রূপগঞ্জ উপজেলায় ১০২৫, সদর উপজেলায়(ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানা) ১২২১ ও সোনারগাঁও উপজেলায় ৪৬২ জন। পুরো জেলায় ৫২১৮ জন।
এলাকা ভিত্তিক এ যাবৎ প্রাণ হারিয়েছে আড়াইহাজার উপজেলায় ৪, বন্দর উপজেলায় ৩, সিটি করপোরেশন (এনসিসি) এলাকায় ৬১, রূপগঞ্জ উপজেলায় ১০, সদর উপজেলায় (ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানা) ২২, সোনারগাঁও উপজেলায় ১৪ জন। পুরো জেলায় ১১৪ জন।
এলাকা ভিত্তিক সুস্থের সংখ্যা হলো- আড়াইহাজার উপজেলায় ৩৬৫, বন্দর উপজেলায় ১১৭, সিটি করপোরেশন(এনসিসি) এলাকায় ১২৪৫, রূপগঞ্জ উপজেলায় ৫৪০, সদর উপজেলায়(ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানা) ৯১৫ ও সোনারগাঁও উপজেলায় ৩১৫ জন। পুরো জেলায় ৩৫৭৪ জন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জহিরুল ইসলাম (৪৩) নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক নার্সের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার নাগেরচর গ্রামে। শ্বাসকষ্ট সমস্যার কারণে বেড়ে গত ২০ জুন রাতে তাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর ২৭ জুন তার করেনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আল মামুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জহিরুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার পেড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১০৪ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনয় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ১০৭২ জনে। ঢাকা থেকে আসা রিপোর্টে তাদের করোনা পজেটিভ আসে। আক্রান্তরা হলো সদর উপজেলায় ৩০ জন, আখাউড়ায় ১৭, বিজয়নগের ১৩, নবীনগরে ১৩, নাসিরনগরে ৮, কসবায় ৮, আশুগঞ্জে ৮, সরাইলে ৪ ও বাঞ্ছারামপুরে ৩ জন। সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরাম উল্লাহ জানিয়েছেন, আক্রান্তদের আইসোলেশনের নেয়া হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন এখন পর্যন্ত জেলায় ১৯ জন। সুস্থ হয়েছে ২৩৩ জন।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুরে নতুন করে আরো ৫২জনের দেহে করোনা াইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে চাঁদপুর সদরে ৩২জন, ফরিদগঞ্জে ৯জন, হাজীগঞ্জে ৫জন, মতলব দক্ষিণে ৪ জন এবং হাইমচরে ২জন রয়েছে। এদিকে উপসর্গে মারা যাওয়া মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বেলায়েত হোসেনের (৮৫) নমুনা পরীক্ষায় করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। চাঁদপুর জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৭১জন। এরমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৬০জন। চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় স‚ত্র জানায়, বুধবার সকালে দুপুরে ৮৮টি রিপোর্ট আসে । এর মধ্যে ৫২টি পজেটিভ। বাকি ৩৬ নেগেটিভ। জেলায় ৯৭১জন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হচ্ছে; চাঁদপুর সদরে ৩৮৪জন, মতলব দক্ষিণে ১০৫জন, শাহরাস্তিতে ১০১জন, হাজীগঞ্জে ৯৭জন, ফরিদগঞ্জে ৯৮জন, হাইমচরে ৭৫জন, কচুয়ায় ৪৩জন এবং মতলব উত্তরে ৬৮ জন। চাঁদপুর জেলায় করোনায় মৃত ৬০জনের মধ্যে হাজীগঞ্জে ১৬জন, চাঁদপুর সদরে ১৭ জন, ফরিদগঞ্জে ৭জন, কচুয়ায় ৫ জন, মতলব উত্তরে ৮ জন, শাহরাস্তিতে ৪জন এবং মতলব দক্ষিণে ৩জন।
গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, গোপালগঞ্জে করোনায় ১ জন ও করোনার উপসর্গে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোর ৩ টার দিকে শহরের মৌলভীপাড়ার বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. লুৎফর রহমান খান (৭৫) মারা যান। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানান গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।
সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে কোয়াণ্টাম ফাউন্ডেশনের একটি প্রশিক্ষিত দল মো. লুৎফর রহমান খানের লাশ দাফন করেছে। তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেণ্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ আরো জানান, আজ বৃহস্পতিবার করোনার উপসর্গ নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মোতালেব (৬৮) ও চরমানিকদহ গ্রামের দীপংকর (৩৪) মারাগেছে। গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালের করোনা উপসর্গ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৬ টায় মোতালেব ও সকাল সাড়ে ৭ টায় দীপংকর মারা যায়।
পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা জানান, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও তার স্ত্রীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া পঞ্চগড় সদর উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন একজন চিকিৎসক ও একজন দর্জি। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৬ জনে। আর ইতোমধ্যে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ১২০ জন।
গত বুধবার রাতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে পাওয়া রিপোর্টে ৪ জন পজেটিভের মধ্যে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (৪৮) ও তার স্ত্রীও (৪০) রয়েছেন। তারা বর্তমানে তেঁতুলিয়া মডেল থানার কোয়ার্টারে আইসোলেশনে রয়েছেন। তারা স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কাশেম।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে ঝালকাঠির রাজাপুর থানার পুলিশ কনস্টেবল ফিরোজ সিকদারের (৫৬) মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে মাওয়াঘাট এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। তিনি গত ১০ দিন ধরে জ্বর, বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। প্রথমে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। ফিরোজ সিকদার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার রাজপাশা গ্রামের মৃত আবদুর রশীদের ছেলে।
কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, কুষ্টিয়ায় পুলিশসহ নতুন করে আরো ৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে কুষ্টিয়ায় এখন পর্যন্ত ৬৫২ জন কোভিড রোগী সনাক্ত হয়েছে। গত বুধবার পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাতে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। কোভিড ১৯ আপডেটে জানানো হয়- কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১ জুলাই ৩৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার ১২৬ টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৩০ জনকে আক্রান্ত বলে সনাক্ত করা হয়েছে (এবং ৩টি ফলোয়াপ পজেটিভ)।
নতুন আক্রান্তের মধ্যে দৌলতপুরে ৯ জন, মিরপুরে ১ জন, সদরে ১৮ জন, কুমারখালীতে ১ জন ও খোকসায় ১ জন । সদর উপজেলায় আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে জুগিয়া ১জন, হাউজিং এস্টেট ১ জন, পশ্চিম মজমপুর ২ জন, পুলিশ লাইন ১ জন, থানাপাড়া ১ জন, উত্তর আমলাপাড়া ১ জন, প‚র্ব মজমপুর ২ জন, সিএসবি রোড, আমলাপাড়া ১ জন, এন এস রোড ১ জন, কাস্টমস মোড় ১ জন, চৌড়হাস ১ জন, বারখাদা ৪ জন ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ১ জন। মিরপুর উপজেলায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঠিকানা মালিহাদ। দৌলতপুর উপজেলায় আক্রান্ত ৯ জনের ঠিকানা দফাদারপাড়া ৪ জন, মহেশকুন্ডি ৪ জন, আদাবাড়িয়া ১ জন। কুমারখালী উপজেলায় আক্রান্ত ১ জনের ঠিকানা তারাপুর। খোকসা উপজেলায় আক্রান্ত ১ জনের ঠিকানা চড়পাড়া । নতুন আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন ও মহিলা ১১ জন। এই নিয়ে কুষ্টিয়ায় এখন পর্যন্ত ৬৫২ জন কোভিড রোগী সনাক্ত হল। (বহিরাগত বাদে)।
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীতে গত রাতে প্রাপ্ত রিপোর্টে নতুন শনাক্তকৃত ১০ জনের মধ্যে সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের চর কুড়িপাইকা গ্রামের ১ জন মৃত ব্যক্তি রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ২১ ।
স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি থেকে জানান, রাঙামাটিতে আরো ৪২ জন করোনা পজেটিভ রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিসের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, নতুন ৪২ জন পজেটিভ রোগীর তথ্য পাওয়া যায়।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলে নতুন করে ৩২জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট আক্রান্ত হলো ৬৬৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৮জন, সখীপুরে ১জন, মির্জাপুরে ১৮জন, কালিহাতীতে ২জন, ঘাটাইলে ১জন, গোপালপুরে ১জন ও ধনবাড়ী উপজেলায় ১জন রয়েছে। জেলায় মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২৭৩ জন। মারা গেছে মোট ১৩ জন। নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে ২০৮টি।
ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল গ্রামে আনিসুর রহমান ( ৪২ ) নামে এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গে মারা গেছেন। গতকাল দুপুর ২টার দিকে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। আনিসুর ওই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, আনিসুর ঢাকা থেকে জ¦র, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনদিন আগে বাড়িতে আসেন। পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আমতলী (বরগুনা) : গত বুধবার রাতে আমতলীর নাচনা পাড়া গ্রামের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক করোনার উপসর্গ নিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিন মহিষ ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক ছিলেন। জানা গেছে, তিনি কয়েকদিন ধরে জ্বর, কাশি এবং শ্বাস কষ্ট থাকায় বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বরগুনা : বরগুনার বেতাগীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে ওহাব আলী মৃধা (৭০) নামে এক ইমামের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাতে জ্বর, সর্দি-কাশি ও শরীর ব্যাথ্যাসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে নিজ বাসায় তিনি মারা যান। মৃত ওহাব আলী মৃধা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট ঝোপখালী গ্রামের বাসিন্দা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজীব আহসান এ তথ্য জানিয়েছেন।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরো এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাত আটটায় রংপুর সদর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তার নাম মো. আব্দুর রাজ্জাক (৮৫) এবং বাসা সৈয়দপুর শহরের টেকনিক্যাল কলেজপাড়ায়। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। তবে তাঁর গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায়। এ নিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল - ২ এ। আর করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০-এ।
গলাচিপা (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম মাহাবুব সিকদার (৪৫)। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। মাহাবুব সিকদার হচ্ছেন উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের শানু সিকদারের ছেলে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন