বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বোয়ালমারীতে ভাতা উত্তোলনে তিন শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২০, ৩:৩৬ পিএম

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষকের নিকট থেকে উপজেলার তিন শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রতি তিন বছরে শ্রান্তি বিনোদনের জন্য ১৫ দিন ছুটিসহ শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পেয়ে থাকেন। এ বছর উপজেলার ২২৭ জন শিক্ষক এই ভাতা প্রাপ্ত হয়েছেন। এই শ্রান্তি বিনোদন ভাতা উত্তোলনে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস ম্যানেজ করার কথা বলে ওই ভাতাভোগী শিক্ষকদের নিকট থেকে তিন শিক্ষক নেতা ৩ শ টাকা করে উঠিয়েছেন। ওই তিন শিক্ষক নেতা হলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হাটখোলারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রকিবুজ্জামান মিলন, মধ্যেরগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. গাফফার শেখ এবং প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও ছোলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করলে ভাতার টাকা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলামের প্রচেষ্টায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দের হস্তক্ষেপে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ২২৭ জন শিক্ষকদের ভাতার প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা প্রাপ্তিতে জটিলতা দূর হয়।
একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভাতার টাকা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে ছাড় হলেও উৎকোচের প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের ফেরত দেননি ওই তিন শিক্ষক নেতা।
এ ব্যাপারে দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, শিক্ষক নেতা রকিবুজ্জামান মিলন, আ. গাফফার শেখ এবং মো. মোশাররফ হোসেনের নির্দেশনায় আমার এবং আমার বিদ্যালয়ের এক ম্যাডামের নির্ধারিত ৬ শ টাকা ছোলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই তিন শিক্ষক নেতার নিকট পৌঁছে দেই।
টাকা উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রকিবুজ্জামান মিলন বলেন, আমি কারো নিকট থেকে কোন টাকা নেইনি।
অপর শিক্ষক নেতা আ. গাফফার শেখ টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সমিতির সাবেক সভাপতি ভাতা উত্তোলনে সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে একটি মৌখিক চুক্তিতে আবদ্ধ হন। তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলে কিছু শিক্ষকের নিকট থেকে আমি টাকা তুলেছি। তবে অধিকাংশই টাকা দেয়নি। আমাদের তিন জনের কাছে উত্তোলনকৃত টাকাটা জমা আছে। পরবর্তীতে টাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আবদুল আওয়াল বলেন, ভাতা নিয়ম মাফিক ছাড় দেয়া হয়েছে। টাকা দাবির বিষয়টি ভিত্তিহীন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন