মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আদাবরে শিশুকে গলা কেটে হত্যা

রায়েরবাজারে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর খুন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

পাঁচ মাস বয়সী এক শিশুকে নিষ্ঠুরভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে রাজধানীর আদাবরের একটি বাসায়। শিশুটির নাম সাদিয়া। শিশুটির বাবা শাহজাহান, মিস্ত্রির কাজ করেন। মা মুর্শিদা বেগম, গৃহিনী। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত বা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অন্যদিকে রায়েরবাজারে তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর ছুরিকাঘাতে ঝর্ণা আক্তার (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে মেকআপ রোড এলাকার এক বাসায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকারীর নাম মো. সোহাগ (২৯)। ঘটনার পর সে পলাতক রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। দু’টি হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সিআইডির ক্রাইম সিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, আদাবর বাজার সংলগ্ন ৩৮/১০ নম্বর বাসায় বাবা-মার সঙ্গে থাকতো পাঁচ মাসের সাদিয়া। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সাদিয়ার বাবা শাজাহান কাজে বেরিয়ে যান। এ সময় রান্না করতে গিয়েছিলেন মা মুর্শিদা বেগম। পরে মা রুমে গিয়ে দেখেন সাদিয়ার রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।
আদাবর থানার ওসি শহিদুজ্জামান বলেন, টিনশেড বস্তি ঘর। পালা করে রান্না করতে হয়। রান্না করতে গিয়েছিলেন মা মুর্শিদা বেগম। এর ফাঁকেই দুপুর ১২টার দিকে কে বা কারা ওই শিশুটিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। একটা নিষ্পাপ ৪/৫ মাসের বাচ্চাকে মানুষ এভাবে হত্যা করতে পারে, ভাবা যায় না। তবে যেই খুন করুক না কেন, খুঁজে বের করা হবে। আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে কিছু ক্লু পেয়েছি। খুব দ্রুতই খুনিকে গ্রেফতার করতে পারব।
ঝর্ণা আক্তার খুনের ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার ওসি আবদুল লতিফ জানান, একমাস আগে ওই দম্পতির সংসার ভেঙে যায়। তাদের ঘরে ১১ বছর ও ৪ বছর বয়সের দুইটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তারা রায়েরবাজারের মেকআপ রোডে এক বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। তালাকের পর ঝর্ণা ওই বাসায় থেকে যায়। সঙ্গে ঝর্ণার মা, নানী ও তার দুই মেয়ে সন্তানসহ থাকতেন। সোহাগ পেশায় সবজি বিক্রেতা। তালাকের পর সোহাগ অন্য জায়গায় চলে যায়।
ওসি আরও জানান, সোহাগ সকালে ঝর্ণার বাসায় যায়। এরপর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রান্নাঘর থেকে শিল এনে ঝর্ণার মাথায় আঘাত করে। এ সময় ঝর্ণাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি ফেলে দিয়ে সোহাগ পালিয়ে যায়। সোহাগের দেশের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে। আর ঝর্ণার বাড়ি বরিশালের মুলাদীতে। ঘটনার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ঝর্ণার পরিবারের পক্ষ থেকে সোহাগকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত সোহাগকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন