বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সুন্দরগঞ্জে কাজ না করেই দুই কোটি টাকা উত্তোলন

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২০, ৩:৫২ পিএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কাজ না করেই প্রায় দুই কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এরমধ্যে বিদ্যালয় মেরামতের এক কোটি ১৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা এবং স্লীপ প্রকল্পের ৭৭ লাখ টাকা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংষ্কার করতে এক কোটি ১৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিবি-৪) আওতায় ঝুকিপূর্ণ বিদ্যালয় মেরামত করতে এ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বরাদ্দের টাকা আসে। নিয়ম অনুযায়ী এসব টাকা অর্থ বছর শেষ হওয়ার আগে ব্যয় করতে হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেলেও এসব টাকা মেরামত কাজে ব্যয় না করে গত ২৯ জুন বিল/ভাউচার ছাড়াই উত্তোলন করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম হারুন-অর রশিদ। ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তড়িঘড়ি করে টাকা উত্তোলন করেন তিনি।
এছাড়াও ২০১৯-২০ অর্থ বছরের স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্লান (স্লীপ) প্রকল্পের আওতায় ২৫৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব বরাদ্দকৃত অর্থও নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয় উন্নয়নে ব্যয় না করে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওযার অর্থ ফেরত যাওয়ার আশঙ্কায় ২৯ জুন তড়িঘড়ি করে উত্তোলন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী কাজ শেষ করে বিল ও ভাউচার জমা দিয়ে বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করতে হয়। সে নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম হারুন-অর রশিদ জানান, বিদ্যালয় মেরামত ও স্লীপের টাকা ৩০ জুনের মধ্যে উত্তোলন না করলে ফেরত চলে যেত। করোনার প্রভাবে বিদ্যালয় গুলো বন্ধ থাকাসহ প্রকৌশল অফিস স্টিমেট না দেয়ায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। সেজন্য কাজ না করে টাকাগুলো উত্তোলন করে শিক্ষা অফিসের ব্যাংক হিসেবে রাখা হয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, কাজ না করে বিল উত্তোলন করার সুযোগ নেই। তবে সবার সাথে সমন্বয় করে টাকা যৌথ একাউন্টে রাখলে সমস্যা নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন