শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সৈয়দপুরে প্রাণ ফিরে পেল খড়খড়িয়া নদী

সৈয়দপুর (নীলফামারী) জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২০, ৪:১৭ পিএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্প ৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী খাল ও জলাশয় পুনঃ খনন প্রকল্পের ১ম পর্যায় খড়খড়িয়া নদী পুনঃ খননের ৩টি প্যাকেজের ৫৭ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে ইতিমধ্যে নদীতে পানি প্রবাহ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর অফিস সূত্র জানায়, নীলফামারী সৈয়দপুর উপজেলার ১৮ কি. মি. থেকে ৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত কাজ করেছে রংপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রুপান্তর। কাজের চুক্তিমূল্য ছিল পাঁচ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। রুপান্তর তার প্যাকেজের কাজ শুরু করেছিল নির্ধারিত দিন ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে গত ৩১ মে রূপান্তর তার প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন করতে সমর্থ হয়।
৩৫ কি. মি. থেকে ৫৫ কি. মি. পর্যন্ত কাজ পায় মেসার্স জুয়েল ইলেকট্রনিক্স, নওগাঁর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের কাজের চুক্তিমূল্য ছিল পাঁচ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি তার প্যাকেজের কাজ শুরু করেছিল ২০১৯ সালের ৪ মার্চ। কাজ শেষ করেছিল নির্দ্ধারিত সময় ৩১ মে।
অন্যদিকে, ৫৫ কি. মি. থেকে ৭৫ কি. মি. পর্যন্ত নদী খনন কাজ করে মেসার্স রুপান্তর, রংপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।এই প্রতিষ্ঠানের চুক্তিমূল্য ছিল চার কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে ২০১৯ সালের ১০ মার্চ। আর শেষ করে চলতি বছরের ৩১ মে।
মেসার্স জুয়েল ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্বাধিকারী মো. সাজেদুর আলম লাল্টু ও মেসার্স রুপান্তর’র মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম উপজেলা সংবাদদাতা কে বলেন, আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করেছি। পাড় রক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ৮ হাজার গাছও লাগিয়েছি।
ইতিমধ্যে আর্থিক বছর শেষ হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিল পরিশোধ করা হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। অবশিষ্ট ৭০ শতাংশ বিল পরিশোধ না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তারা আরও বলেন, আমরা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কাজ শেষে বিল উঠিয়ে ব্যাংকের লোন পরিশোধ করে থাকি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম উপজেলা সংবাদদাতা কে জানান, নানা প্রতিকুলতার মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার পর আমরা ইতিমধ্যে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় ঠিকাদাররা তাদের বিলের অবশিষ্ট টাকা পায়নি। তবে তিনি জানান, টাস্কফোর্স পরিদর্শন শেষে রিপোর্ট জমা দিলে ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ ত্বরান্বিত হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকারও একই কথা বলেন। তবে খুব শিগগিরিই তারা অবশিষ্ট টাকা পেয়ে যাবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন