বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মির্জাপুরে ধল্যা-বিলপাড়া সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ৮:০১ পিএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বন্যার পানির প্রবল চাপে ধল্যা-বিলপাড়া অভ্যন্তরীণ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ১৫ গ্রামের মানুষসহ পার্শ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে সড়কটির আদাবড়ি পশ্চিমপাড়া নামক স্থানে এই ভাঙনের সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। রাতের মধ্যে সড়কটির ৭০-৮০ ফুট ভেঙ্গে যায় বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজাহান তালুকদার বকুল জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ধল্যা-বিলপাড়ার সড়ক দিয়ে বাসাইল উপজেলার সাথে মির্জাপুরের সরাসরি যোগাযোগের একটি মাধ্যম। এছাড়া প্রতিদিন আদাবাড়ি, ভাতকৃড়া, গ্রামনাহালী, বিলপাড়া, ছাওয়ালীসহ অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে উপজেলা সদরসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতায়াত করে থাকে। কিন্ত বন্যার পানির প্রবল ¯্রােতে সড়কের ওই অংশে ভেঙে যাওয়ার ফলে বিপাকে পড়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে বিকল্প হিসেবে ওই গ্রাম গুলোর মানুষ ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারপার হচ্ছে।
জানা গেছে, গত তিনমাস পূর্বে সড়কটি স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর সংস্কার করে। নির্মাণ কাজের মান নিয়েও এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন। সড়কটির কয়েকটি স্থানে পানি চলাচলের জায়গা থাকলেও সেখানে নতুন বাড়ি-ঘর নির্মাণ করায় পানি প্রবেশের পথগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া যেখানে রাস্তাটি ভেঙে গেছে সেখানে একটি কালভার্ট ছিলো। রাস্তা সংস্কারের সময় স্থানীয় কিছু লোকজন কালভার্টের মুখ আটকে দেয়। এতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বন্যার পানি প্রবেশের সব মুখ বন্ধ হয়ে পড়ায় পানির প্রবল চাপে সড়কের আদাবাড়ি পশ্চিমপাড়া ওই অংশ পানির ¯্রােতে ভেঙ্গে যায়। রাতের মধ্যে ওই এলাকা সম্পূর্ণ প্লাাবিত হয়ে পড়ে। এদিকে পানির প্রবল ¯্রােতে আদাবাড়ি কবরস্থানের দেয়ালও হুমকির মধ্যে পড়েছে বলেও জানা গেছে।
মহেড়া ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, পানি প্রবাহের পথগুলো স্থানীয় লোকজন বাড়িঘর নির্মাণ করে বন্ধ করে দিয়েছে। তাছাড়া কালভার্টের মুখও স্থানীয়রা বন্ধ করে দেয়ায় পানির প্রবল চাপে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। তাছাড়া সড়কটি নির্মাণ কাজ ছিলো অত্যন্ত নি¤œমানের বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নির্মাণ কাজ নি¤œমানের কথা অস্বীকার করে বলেন, বর্ষার পানির চাপের সাথে কাজের নি¤œমানের কোন সম্পর্ক নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন এলাকায় লোক পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন