বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সীমান্তে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশীদের হত্যা করছে বিএসএফ। বাংলাদেশের ভেতর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনও চালায় বিএসএফ। গত তিন মাসে তারা ২৫ জন বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করেছে। গত ২ জুলাই একজনকে এবং ৪ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন জাহাঙ্গীর আলমকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। এই ভয়ঙ্কর অমানবিক মনুষ্যত্বহীন ঘটনা দেশবাসীকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার টু শব্দটি পর্যন্ত করে না। প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না নতজানু সরকার। গতকাল রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে তথ্যমন্ত্রী চুপ কেন? সীমান্ত হত্যা বন্ধে সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই। নতজানু সরকার কোন প্রতিবাদ করারও সাহস পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই একপেশে হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশীরা। বর্তমান সরকার কতটুকু নতজানু যে, এর আগে আমরা দেখেছি-বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীরা বিএসএফ এর হত্যাকান্ডের কোন প্রতিবাদ না করে বরং তাদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশীদেরই অভিযুক্ত করেছে। বিএসএফের হাতে সকল হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, জনগণের পাশে না থেকে ঘরে বসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করছে বিএনপি নেতারা। প্রতিদিন ঘরে বসে শুধু সমালোচনা করে। তথ্যমন্ত্রীর মতো উদ্ভট ও ডাহা মিথ্যা কথা বলার মতো লোক বাংলাদেশে আর কতজন আছেন তা আমার জানা নেই। তার চোখে মুখে মিথ্যার ঝলক বেরিয়ে আসে। তথ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই-আপনাদের মন্ত্রী-এমপি’রা কে মাঠে আছে, কে জনগণের পাশে আছে? আমরা তো দেখছি-আপনাদের এমপি মানবপাচারের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে গ্রেফতার হচ্ছে। আপনাদের জনপ্রতিনিধিদের খাটের তল থেকে, মাটির তল থেকে, গ্যারেজের ভেতর থেকে শুধু চালের বস্তা, তেলে বস্তা বের হচ্ছে। এগুলি জনগণের টাকায় সরকারি ত্রাণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন