বিশেষ ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য ভার্চুয়াল আদালত চালু থাকবে। গতকাল রোববার বিকেলে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ফজলুল হক সেলিম এর সঞ্চলনায় আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বারের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই কাইয়ুম।
এ সময় আদালত ভার্চুয়াল আদালত আইনটিকে অধ্যাদেশ করার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের কারাগারগুলোর ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৪০-৫০ হাজার আসামী কারাগারে ছিল। এই সমস্যার কারণে আদালতে জন্য তথ্য প্রযুক্তির অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশের ফলে সারাদেশে ৫০ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়েছে। তবে, তথ্য প্রযুক্তির সুযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে জামিন নিষেধাজ্ঞা ছাড়া আর কোন কিছুই সম্ভব নয়। এর বাহিরে কোন কিছু করতে হলে আমাদেরকে ফৌজদারী, দেওয়ানী, সাক্ষ্য আইনসহ অনেক আইনকে সংশোধন করতে হবে। সেখানে আমরা এখন যাব না কারণ এটি সংশোধন করতে হলে সবার সাথে আমাদের আলোচনা করতে হবে।
আমরা যখন বুঝেছি করোনা ভাইরাসের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন চলতে হবে সেজন্য পর্যায়ক্রমে আমরা আদালত খুলে দেয়ার চেষ্টা করছি।
জুনিয়র আইনজীবীদের একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, জুনিয়র আইনজীবীদের ঋণ দেয়া যায় কি না আমরা সেই চেষ্টায় আছি। সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ফজলুল হক সেলিমের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী সমিতির ঝুঁকিপূর্ণ ২ নং হল নতুন করে নির্মাণের আশ্বাস দেন।
ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ডি অঞ্চলের সদস্য অ্যাডভোকেট এ.এফ.এম. রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, সিলেটের সরকারি কৌশুলী অ্যাডডভোকেট মো. রাজ উদ্দিন, সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নিজাম উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী, জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. শমিউল আলম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন