শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জেলে বসেই পরিকল্পনা

শোরুমে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার চার : মালামাল উদ্ধার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

বিভিন্ন সময় চুরি-ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার পর তাদের পরিচয়। সেখানে বসেই বড় কোনো শোরুমে ডাকাতির পরিকল্পনা করে তারা। জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে যোগাযোগ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৩ জুন মধ্যরাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন ৫৭/১৫ পান্থপথের ওয়ালটন প্লাজা (এসটি) শোরুমে আনা মালামাল ডাকাতি করে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতারকৃতরা হলো- রবিউল ইসলাম (৩১), সুমন, রানা ও সাথী। এদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ১৬৪ ধারায় আদালতে ডাকাতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে, ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সাত-আটজন। তাদের ডাকাতির পরিকল্পনা জেলে বসেই। গতকাল শেরেবাংলা নগর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন-অর-রশিদ।
ডাকাতির ঘটনায় ওয়ালটন শোরুমের ম্যানেজার মো. রানা মিয়া গত ২৪ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতদলের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত দলের সদস্যরা জানিয়েছে তারা আন্তঃবিভাগীয় ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন-অর-রশিদ বলেন, ডাকাতির মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪টি ওয়ালটন ফ্রিজ, পাঁচটি এলইডি টেলিভিশন, একটি মোবাইলফোন এবং ড্রাইভারের সাড়ে চার হাজার টাকা এবং হেলপারের ৮০০ টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা। এরমধ্যে পুলিশ চার আসামিকে গ্রেফতার এবং ১৮টি ওয়ালটন ফ্রিজ এবং তিনটি এলইডি টেলিভিশন উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে।
ডিসি হারুন আরো বলেন, মামলার ঘটনার তেমন কোনো ক্লু না থাকায় তদন্ত শুরু করতে হয় বড় পরিসরে। প্রথমে সিসিটিভি ক্যামেরার সহায়তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ফুটেজ যাচাই-বাছাইসহ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়।
এরই প্রেক্ষিতে গত ১ জুলাই রবিউল ইসলামকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তদন্ত টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকা থেকে আসামির স্বীকারোক্তি মতে সাতটি ফ্রিজ উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানায়, ডাকাতিতে তার চার সহযোগী শাহজাহান (২৪), মেহেদী হাসান মৃধা ওরফে হাসান (২৮), রনি (২৫) ও আব্দুর রহিম (২৮) ময়মনসিংহ জেলা ডিবি পুলিশ কর্তৃক আটকের পর জেলহাজতে রয়েছেন। অপর আসামি সুমন রানাসহ অন্যরা পলাতক। তথ্য যাচাইয়ের পর তদন্ত টিম ময়মনসিংহ থেকে হাসান ও রনির হেফাজতে থাকা দুটি ফ্রিজ ও দুটি টেলিভিশন উদ্ধার করে।
রবিউলের দেয়া তথ্যমতে, গত ৪ জুলাই ডাকাতিতে অংশগ্রহণকারী সুমন ও রানাকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের জাউচর আরশিনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার ও একটি টেলিভিশন উদ্ধার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যমতে, সাভার-আশুলিয়ায় মেহেদী হাসান মৃধার দুই আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দুটি ফ্রিজ জব্দ করা হয়। এছাড়া সাথী নামে একজনকে গ্রেফতার ও তার দোকান থেকে ছয়টি ফ্রিজ উদ্ধার করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন