মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সীতাকুণ্ডে স্লুইচ গেট ও খাল ঘিরে শিপইয়ার্ড নির্মাণের অভিযোগ

পানিবদ্ধতার শঙ্কায় ৫ গ্রামের মানুষ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২০, ৫:২৩ পিএম

সীতাকুণ্ড কুমিরা সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত সরকারি স্লুইচ গেট ও খাল ঘিরে শিপব্রেকিং ইয়ার্ড নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ খালটি ভরাট করে পানি নিস্কাশনে বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে পাহাড়ি ঢলের পানিতে চলতি মৌসুমে বর্ষায় কুমিরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পানিবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার কুমিরা ঘাটঘর সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে অবস্থিত মেসার্ম মোহরম ইস্পাত নামক একটি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড নির্মাণকালে কয়েক গ্রামের পানি নিস্কাশনের জন্য একটি সরকারি খাল ও ঐ খালের ওপর নির্মিত সøুইচ গেটসহ ঘিরে ফেলেন তারা। এতে করে আস্তে আস্তে খালটি ভরাট করায় সেটি ক্রমশ ছোট হয়ে পড়ে এবং পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ঐ এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, মোহরম ইস্পাত শিপ-রিসাইক্লিং ইন্ড্রাস্ট্রিজ নামক ইয়ার্ডের সীমানার মধ্যে উত্তর অংশে খাল ও স্লুইচ গেটটির অবস্থান রয়েছে। গেটের সমুদ্রের অংশের অনেকগুলো সরকারি সø্যাব তুলে ফেলে জমিয়ে রাখা হয়েছে বেড়িবাঁধের ওপরের দিকে। আর এর ঠিক বিপরীতে গেটের দক্ষিণ অংশে লোহার জালের ঘেরা। পরিদর্শনকালে কুমিরা ঘাটঘর জেলে পাড়ার বাসিন্দা দেবাশীষ, রাজু জলদাশসহ জেলে অনেকেরে অভিযোগ এখানে সরকার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছিলেন আমাদের মতো উপক‚লে বসবাসরত মানুষদের জীবন রক্ষার জন্য। আর বেড়িবাঁধের যেসব অংশে সরকারি খাল রয়েছে সেখানে পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরি করা হয়েছিলো সøুইচ গেট। এই গেটগুলো সচল থাকলে অতি বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানি গেটের মাধ্যমে সাগরে চলে গিয়ে গ্রামবাসীকে পানিবদ্ধতা থেকে অনেক রক্ষা করে। কিন্তু মহোরম ইস্পাত নামক শিপইয়ার্ডটি খাল ও স্লুইচ গেটটি দখল করে আস্তে আস্তে বন্ধ করে দিচ্ছে। এটি বন্ধ হয়ে পড়লে ঘাটঘর জেলে পাড়াসহ আশপাশের কমপক্ষে ৪-৫টি গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হবেন। যার ফলে এই স্লুইচচ গেট ও খালটি উদ্ধারে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। কিন্তু এই ইয়ার্ডের লোকজন কারো কথা শুনছেনা। ফলে তারা খাল ও স‌লুইচ গেট গ্রাস থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে আমি সার্ভেয়ার পাঠিয়ে খাল ও স্লুইচ গেটটি কি অবস্থায় আছে তা দেখার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অপরদিকে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোহরম ইস্পাত শিপ-রিস্লাইকিং ইন্ড্রাস্ট্রিজের সত্তাধিকারী মো. কামাল পাশা। তিনি বলেন, খাল ও স্লুইচ গেটটি আমার ইয়ার্ডের মধ্যে মনে হলেও আসলে ঐ অঙ্কটি আমার জায়গা না। খাল থেকে আমার জায়গা কমপক্ষে ৩০ ফুট দূরে। আমি সরকারি খাল বা স্লুইচ গেট দখল করিনি। আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে। আমিও চাই স্লুইচ গেট ও খালটি দখল মুক্ত রাখা হোক। আমি সেখানে জাহাজ ভাঙার জন্য কোনো জাহাজ আনিনি এবং আমার দ্বারা ক্ষতি হওয়ার কথাও সব মিথ্যা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন