শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইসলামী ছাত্রসমাজ
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেছেন, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করা না হলে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তিনি সম্প্রতি পুরানা পল্টনস্থ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে এক প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন যে, এ দেশের ৯২% শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে হিন্দুত্ববাদী ও সমাজতান্ত্রিক প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতা পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত করার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। তিনি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার জন্যে প্রণীত পাঠ্যপুস্তকে মুসলিম লেখকদের প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা পুনঃপ্রতিস্থাপনের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের প্রাণের দাবি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে সরকার কে চরম মূল্য দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
ইসলামী ছাত্রসমাজ মহানগর আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা আবদুর রশিদ মজুমদার, সহ-সভাপতি অধ্যাপক এহতেশাম সারওয়ার, যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক শেখ লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক একে এম আশরাফুল হক, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবু তাহের খান। আরো বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল হক, মুফতী আবদুল কাইয়ুম, জিয়াউল হক মজুমদার, রবিউল আলম মজুমদার, মাওলানা আবুল হাসান, মো. মনির হোসেন, ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ খান, মহাসচিব মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান, আমির জেহাদী, মো. শামীম হোসেন, মো. ইব্রাহিম খলিল, এহতেশামুল হক, আহমদুল্লাহ, হমিদুল হক শরিফ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, সোলাইমানসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মুহিউস্ সুন্নাহর আহ্বান
সমগ্র বিশ্বে বিশেষত মুসলিম বিশ্বে এমনকি আমাদের প্রিয় স্বাধীন বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের বিস্তারে যে ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা অত্যন্ত অকল্পনীয় এবং হুমকি স্বরূপ। এর সমাধানে অনতিবিলম্বে ঐক্যের ভিত্তিতে মতামত ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক। মনে রাখতে হবে যে, এর জন্য সকলকেই আল্লাহপাকের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।
এ ছাড়া বস্তু জগতে সকলকে সচেতনতার সাথে তাদের কর্মসূচি অব্যহত রাখতে হবে। আর দলমত নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের নাগরিককে সরকারকে সহায়তা করতে হবে। আন্তর্জাতিক জঙ্গী ও এ জাতীয় সমস্যার মোকাবেলা করা কেবল সরকারের পক্ষে অথবা ব্যক্তি, দল- উপদলের পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং উভয়ে তাদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে স্বচেষ্ট হলে, আল্লাহপাকের রহমতে এর সমাধান পাওয়া যাবে বলে আমি আশা করি।
সর্বপরি এই জঙ্গী কর্মসূচি ইসলামের নামে করা হচ্ছে, অথচ ইসলাম সর্বসম্মত শান্তির ধর্ম, ইসলাম চায় শান্তি। তাই ইসলামের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদীতার নামে যা ঘটে গেল এবং ঘটে চলেছে তা যেন আর না ঘটে, সে ব্যাপারে মুসলমান আর বিশেষ করে উলামা-মাশায়েখ, খতীব-ইমাম এবং ইসলামী বিশেষজ্ঞদেরকে সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে ও তাদেরকে বক্তৃতা, বিবৃতি এবং লেখার মাধ্যমে জাতীয় ঐতিহ্য রক্ষায় দেশের সার্বভৌমত্ব সুসংহত করণে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণহতে হবে।
নিজের অপকর্ম এবং গুনাহ থেকে তাওবা করা ও অধিক এস্তেগফার এবং দোয়ায় কান্নাকাটি করতে হবে। নিজের পরিবার-পরিজন এবং সন্তানদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে তারা যেন কোন ক্রমেই ইসলামের নামে বিভ্রান্তের শিকার না হয়, তাদের মধ্যে দেশত্ববোধ এবং ধর্মীয় অনুশীলনের স্পৃহা সৃষ্টি করণে সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদের প্রতি তার বিশেষ রহমত নাযিল করুন। আমীন।
-মাওলানা মাহমূদুল হাসান
খতীব, গুলশান সেন্ট্রাল জামে মসজিদ
আমীর, মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন