পুলিশের নির্যাতনে কলেজ ছাত্র ইমরান হোসেনের দুই কিডনি নষ্ট হওয়ার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। যুগ্ম জেলা জজ পদমর্যাদার নিচে নয় এমন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা দিয়ে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে যশোর জেলা ও দায়রা জজকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের এ নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। তিনি জানান, গত ২৩ জুন একই আদালত ইমরান হোসেনের (২৩) শারীরীক অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। যশোর সিভিল সার্জন ও পুলিশ সুপার গত ২৮ জুন পৃথক দুটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর ভিত্তিতে উপরোক্ত আদেশ দেন আদালত।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। সরকার পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, যশোরের পুলিশ সুপার, যশোরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং যশোরের সিভিল সার্জনকে বিবাদী করা হয়।
প্রসঙ্গত: ৮ জুন যশোর জেলার সদর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের নেছার আলীর ছেলে ইমরান হোসেনকে সাজিয়ালি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ অফিসার নির্মম প্রহারের কারণে তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে মর্মে ৯ জুন সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ইমরান বর্তমানে যশোরের কুইন্স হসপিটালে চিকিৎসাধীন। যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক এবং ইমরানের মৌলিক অধিকারের লংঘন। রিটে ইমরানের ওপর নির্মম প্রহারের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ইমরানের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং তার যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় ভার বিবাদীদের বহনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন