চলতি ২০২০ সাল যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের বছর। আগামী ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনের পাশাপাশি ঐদিন দেশব্যাপী আরো গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীর রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে প্রধান বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হতে চলেছেন ওবামা সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চলছে উভয় প্রার্থীর প্রচারণা। এদিকে গত ২৩ জুন অনুষ্ঠিত হলো নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাইমারী নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৫জন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র একজন বিজয়ী হয়েছেন। তবে প্রাইমারী নির্বাচনে বাংলাদেশী-আমেরিকান প্রার্থীরা আশার আলো দেখিয়েছেন।
অপরদিকে সদ্য অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রাইমারী নির্বাচনে ফিলাডেলফিয়া থেকে ষ্টেট এটর্নী জেনারেল পদে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত ড. নীনা আহমেদ জয়লাভ করেছেন। আবার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ষ্টেট সিনেট নির্বাচনের এক আসনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত শেখ রহমান চন্দন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে নিউইয়র্ক সিটির কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত অনেকেই প্রার্থী হতে চলেছেন। কমিউনিটির বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় কুইন্স থেকে রয়েছেন- সিটি কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক্ট-২৪ থেকে গত সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে এর প্রাইমারী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, অ্যাসাল-এর কুইন্স চ্যাপ্টারের সভাপতি সেবুল উদ্দিন, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার। অপরদিকে ওজনপার্ক থেকে মিসবাহ আবদীন এবং ব্রুকলীন থেকে শাহানা হানিফ সিটি কাউন্সিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে এই সপ্তাহে ফেসবুকের মাধ্যমে আগাম প্রচারণা শুরু করেছেন সেবুল উদ্দিন ও মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার।
উল্লেখ্য, সিটি কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক্ট-২৪ এর বর্তমান কাউন্সিলম্যান ররি লেন্সম্যান। আগামী বছর তিনি আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে পদটি শূন্য হবে এবং নতুন প্রার্থীকে বিজয়ী হতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন