বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

এক জনের ২ রকম ফলাফল, সোমবার পজিটিভ বুধবার নেগেটিভ

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২০, ১:০৮ পিএম

২ দিনের ব্যবধানে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় একই ব্যক্তি ২ ধরণের রিপোর্ট পেয়েছেন। সোমবারের রিপোর্টে পজিটিভ আসলেও বুধবারের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। এযেন কবির ভাষায় বলতে হয় একই অঙ্গে এতরুপ।

রিপোর্ট অনুসন্ধানে জানা গেছে, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার ব্যাবসায়ী ও সংবাদকর্মী ওম প্রকাশ আগরওয়ালা ২ দিনের ব্যবধানে এমন রিপোর্ট পেয়ে তিনি চরম সংশয় প্রকাশ করেন। সংবাদকর্মী ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা গত ২৯ জুন সোমবার আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সস্ত্রীক করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন। বুধবার তিনি নিজে জয়পুরহাট প্রেসক্লাব ভবনে এসে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত নমুনা পরীক্ষায় সহকর্মীদের সাথে তার নিজ নমুনা জমা দেন। গত ৭দিন পর সোমবার রাত ন’টায় ঢাকার ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেন্স সেন্টার থেকে ২৯ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত পাঠানো ৩শ ৯২ টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল প্রতিবেদন আসে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। ওই ফলাফল পাওয়ার পর সোমবার রাত ৯টার পর আক্কেলপুর হাসপাতাল থেকে একজন স্বাস্থ্যকর্মী ওম প্রকাশ আগরওয়ালা দম্পতির করোনা ভাইরাস পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে জয়পুরহাট প্রেসক্লাব থেকে পাঠানো ১২ জনের রিপোর্টে সকলের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া যায়। এ খবর তাকে জানানো হলে তিনি বলেন আগের রিপোর্টে তো পজিটিভ এসেছ্।ে ২ দিনের ব্যবধানে একই ব্যক্তির পজিটিভ ও নেগেটিভ ফলাফল পেয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খ.ম আব্দুর রহমান রনি।তিনি বলেন,এমনিতেই ১০ থেকে ১৫দিন পর নমুনার ফলাফল আসা নিয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। সেখানে এমন ফলাফল মানুষের মনে শঙ্কা আরো বাড়াবে।

এ ব্যাপারে জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সেলিম মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের মতে করোনা টেষ্ট কিটের রিপোর্টের ফলাফলে ৩০ ভাগ রিপোর্ট কম-বেশী হতে পারে। এক্ষেত্রে যদি কারো নেগেটিভ ও পজিটিভ ২ ধরনের রিপোর্ট আসে তাহলে আমরা পজিটিভটাকে গ্রহন করবো। এছাড়া যখন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয় তখন যে স্বাস্থ্যকর্মী এটা সংগ্রহ করবে তার সংগ্রহ কৌশলের উপরও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষনবিহীন স্বাস্থ্যকর্মীর নমুনা সংগ্রহ কৌশলের কারনেও এমনটি ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

ব্যাবসায়ী ও সংবাদকর্মী ওম প্রকাশ আগরওয়ালা বলেন,‘সোমবার পজিটিভ আর বুধবার নেগেটিভ ফলাফল পেয়ে কিছু বুঝতে পারছি না। তবে ৭দিন হোম আইসোলেশন এ থাকার পর বগুড়ার টিএমএসএস বেসরকারি হাসপাতালে আরো একবার নমুনা পরীক্ষা করাবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জয়পুরহাট জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫শ ১১ জন। সুস্থ্য হয়েছেন ২শ ২৮ জন। নমুনা সংগ্রহ ৮ হাজার ১৯টি এবং ফলাফল পাওয়া গেছে ৭ হাজার ৭শ ২২ জন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন