অবশেষে ঘুম ভাঙলো জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের। ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেন নাছিমা বেগমকে। এই দীর্ঘসময় পদ্মা-যমুনা দিয়ে অনেক পানি গড়িয়েছে। দেশে অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম কখনো ঘুমিয়ে; কখনো নীরব দর্শকের ভ‚মিকা পালন করেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেয়ে কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান চৌধুরীর মতো তাকে ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে দেখা যায়নি। প্রতিবাদ করেন নি।
তবে এতোদিন পর অপরাধ না করেও মো. আবদুস সালাম ঢালী (৫৮) নামের এক ব্যক্তির কারাভোগের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। তিনি বলেছেন, নিরপরাধ হয়েও সালাম ঢালী জেল খেটেছেন যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এই ঘটনা জাহালম ঘটনার পুনিরাবৃত্তি।
নাম ও ঠিকানায় মিল থাকায় অপরাধ না করেও চার মাস সাজা খেটে খুলনায় সালাম ঢালী নামের এক ব্যক্তি মুক্তি পেয়েছেন। তিনি বাগেরহাট জেলা কারাগারে ছিলেন। আদালত এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছে।
গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, বিনা অপরাধে জেলে থাকা সালাম ঢালীকে কমিশনের প্যানেল আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি সহায়তা দিয়ে মুক্তির ব্যবস্থা করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গণমাধ্যমে ‘আসামি না হয়েও জেল খাটছেন খুলনার সালাম ঢালী’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত আমলে নিয়ে বাগেরহাটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে তার মুক্তির জন্য আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আদালত সালাম ঢালীকে মুক্তির আদেশ দেন। কমিশনের চেয়ারম্যান আরো বলেন, একের পর এক এধরনের ঘটনা ঘটছে যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের মোংলা থানায় একটি মামলায় ২০০৯ সালের ৩০ জুলাই আবদুস সালাম নামের এক আসামির দুই বছরের সাজা হয়। গত ১১ মার্চ ওই আসামির নিজের নাম ও ঠিকানায় মিল থাকায় ভুল করে খুলনা নগরীর শেখপাড়া এলাকার মফিজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে মো. আবদুস সালাম ঢালীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় আবু সালেকের বদলে জাহালম নামের এক শ্রমিকের তিন বছর কারাভোগের ঘটনা ঘটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন