শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

স্বামী-স্ত্রী সহ ৪ সিএনজি ছিনতাইকারীর চাঞ্চল্যকর তথ্য

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২০, ৪:৩০ পিএম

স্বামী-স্ত্রী সহ ৪ সিএনজি ছিনতাইকারী পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তারা কেরানীগঞ্জ ও আশপাশের এলাকা থেকে সিএনজি ভাড়া করে চালককে কোমল পানীয়ের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে তা ছিনতাই করত। এই কাজের মূল হোতা শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দী বাগবাড়ি গ্রামের মারফত আলী শেখের ছেলে হাবীবুর রহমান শামীম। কয়েক বছর আগে এলাকা থেকে চলে যায় ঢাকার কেরাণী গঞ্জে। সেখানে কখনো শামীম কখনো শাকিল সহ বিভিন্ন সময় ছদ্ম নাম ধারণ করে জড়িয়ে পরে নানা অপকর্মে। এক সময় নিজেই গড়ে তুলে সিএনজি ছিনতাইকারী চক্র। চক্রটি ঢাকা-কেরাণীগঞ্জ ও পাশর্^বর্তী এলাকা থেকে যাত্রী সেজে সিএনজি ভাড়া করে নির্জন এলাকায় নিয়ে তা ছিনতাই করত। সিএসজি চালক যাতে সন্দেহ করতে না পারে এজন্য হাবীব তার ৪র্থ স্ত্রী মায়ানুর সুমীকে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য করে নেয়।
বুধবার দুপুরে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দেন। তিনি জানান, হাবীব ও তার স্ত্রী সহ এই চক্রের ৪ সদস্যকে মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীনগর উপজেলার কেসি রোডের তন্তর ইউনিয়নের সুফিগঞ্জ এলাকায় সিএনজি চালককে অস্ত্রের মুখে ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাদের আটক করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হাবীব জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে চালক রানা হাওলাদারের সিএনজিটি কেরাণীগঞ্জের খোলামোড়া থেকে ৫ জন মিলে ভাড়া করে। বেলা ১১ টার দিকে আলমপুর-বাড়ৈখালী সড়কের মাঝা মাঝি এসে তারা সিএনজি থেকে নামে। এসময় হাবীবের স্ত্রী সুমী চালক রানা হাওলাদারকে ঘুমের ঔষধ মিস্ত্রিত মজো খেতে বললে সে তা প্রত্যাখান করে। পরে তারা পরিকল্পনা পরিবর্তন করে। হাঁসাড়া বাজারে এসে চালক রানার হাত-পা বাধার জন্য লাইলনের রশি কিনে। সেখানে কিছুক্ষন অবস্থান করার পর তারা সিএনজিতে উঠে কেসি রোডের তন্তর এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে আসে। এসময় হাবীব চালক রানার গলায় ছুরি ধরে রাখে। বাকীরা তার হাত-পা বাধা শুরু করলে সে সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে পরে চিৎকার শুরু করে। রাণার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পাভেল,ফজলুল করিম ও সুমীকে আটক করে। হাবীব ও শান্ত ওরফে জিএম পুকুরে ঝাপ দিয়ে কচুরি পানায় লুকিয়ে থাকে। বিকাল ৪টার দিকে হাবীব কচুরি পানা থেকে উঠে আসার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পাশেই অবস্থান নেওয়া পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
অফিসার ইনচার্জ হেদায়াতুল ইসলাম আরো বলেন, হাবীব ও তার স্ত্রী সুমির বিরুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় মামলা হয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন